
নিজেদের চরিত্রের খাতিরে চেহারা থেকে ভাষা, লুক সব বদলাতে পারেন অভিনেতারা। রাজামৌলি পরিচালিত ছবি আরআরআর অস্কার দৌঁড়ে মনোনীত হতে পারে অভিনেতা বিভাগে, রয়েছে খবর। এই ছবির ভীম চরিত্রের জন্য ১৮ মাস কঠোর পরিশ্রম করেছেন এনটি আর জুনিয়র।

স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ছবির আলিয়া ভাটকে দেখে কেউ মেলাতে পারেন উড়তা পাঞ্জাব ছবির আলিয়াকে। এই চরিত্রের জন্য আলিয়া নিজেকে নানা ভাবে ভেঙেছেন। বিশেষ করে বিহারী ভাষা বলার কায়দা শেখার জন্য রীতিমতো ট্রেনিং নেন অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর কাছ থেকে।

প্রথম ছবি দম লাগা কে হ্যাইসা ভূমি পেডনেকরের। প্রথম ছবিতেই তিনি নিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জ। তাঁকে ছবিতে নিজের ওজন বৃদ্ধি করতে হয়েছিল প্রায় কিলো তিরিশ। তিনি ভয় না পেয়ে নিজেকে দিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জ। যার ফলও তিনি পেয়েছেন হাতে-নাতে।

বিদ্যা বালন নন, স্লিক স্মিথের চরিত্রে পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন করিনা কাপুর খান। কিন্তু তিনি এত বোল্ড চরিত্র করতে রাজি হননি। বিদ্যা এই ছবির চরিত্রের জন্য নিজেকে কতটা পাল্টে ছিলেন তা এখন কারও অজানা নয়।

আমির খান এমন একজন অভিনেতা যিনি চরিত্রের জন্য নিজেকে বারবার ভাঙতে গড়তে পারেন। দঙ্গল সিনেমা তাঁর অন্যতম উদাহরণ। ৫০ বছর বয়সে তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে রোগা-মোটা হয়েছেন। এটা করতে গিয়ে তাঁর প্রাণহানি হওযারও সম্ভবনা ছিল। তা সত্ত্বেও তিনি চরিত্রের জন্য চেহারা নিয়ে পরীক্ষা করেছেন আর সফলও হয়েছেন।

রাজকুমার রাও খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে যে কোনও চরিত্রে প্রবেশ করেন। সঙ্গে তাঁর ভক্তদের স্তম্ভিত করেন নিজেকে নানা লুকে সামনে এনে। তাঁর ট্র্যাপড থেকে বোস এবং আরও অনেক ছবির জন্য তিনি নিজেকে কতটা ভাঙা-গড়া করেছেন, তা সিনেমা দেখলেই বোঝা যায়।