
কাস্টার্ড আপেল ইংরেজিতে নাম হলেও, চলতি বাংলা একে আতা বলা হয়। খুব ছোট্ট বয়স থেকেই এই ফলের নাম শুনে আসছে সকলে। তবে এই দেশি ফলের কদর নেই। সবুজ, খাঁজযুক্ত ফলটির ভিতরে সাদা, ক্রিমি ও সুস্বাদু শাঁস রয়েছে। হিন্দিতে সীতাফল বলা হয়। আবার চেরিমোয়াও বলে অনেকে।

এতে রয়েছে ভরপুর ফাইবার, ভিটামিন, খনিজে সমৃদ্ধ। এই অসাধারণ উপকারী ফলটি রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রদাহ কমাতে, চোখ ও হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতির করতেও দারুণ সহায়তা করে।

আতা সাধারণত সবুজ ও বাদামী রঙের হয়ে থাকে। পাকা অবস্থায় এর স্বাদ অনন্য। অল্প সুমিষ্ট সুগন্ধযুক্ত স্বাদ। আতাকে পাত্তা না দিলেও ভারতে উপকারী ফলগুলির মধ্যে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ বলে মনে করা হয়।

বিশেষ করে ডেজার্ট তৈরিতে এর স্বাদ ব্যবহার করা হয়। স্বতন্ত্র স্বাদ ও ক্রিমি টেক্সচারের জন্য এই ফলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, মরসুমি ফল হিসেবে আতার রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা।

কাস্টার্ড আপেল বিপাককে ত্বরাণ্বিত করে। খাদ্যকে শক্তিতে সর্বোত্তম সম্ভাব্য পরিবর্তন করতে সক্ষম করে তোলে। এই ফলের প্রচুর পুষ্টিকর ফাইবার রয়েছে, যে ক্ষুধা নিবারণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া তাড়াতাড়ি খিদে পাওয়ার বাসনাও দূর করে।

এছাড়া হজমশক্তিকে ত্বরাণ্বিত করতেও এই ফলের উপকারী দিক রয়েছে। আতার স্বাস্থ্য উপকারিতা যদি দেখা যায়, তার তালিকা শেষ করা যাবে না। আলসার নিরাময় করতে ও অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করতে আতার গুণ অপরিহার্য।

আতায় রয়েছে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, যা ত্বকের মধ্যে কোমল ও মসৃণ টোন দেয়। যে কোনও তরল ফাউন্ডেশনের থেকে ঢের ভাল। চোখ ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নচি করতে পরিচিত। এছাড়া এই ফল এইচবি মাত্রা উন্নত করতেও সাহায্য করে।

সীতাফলের বায়োঅ্যাকটিভ অণু রয়েছে। অ্যান্টি-ওবেসোজেনিক, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ও অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য থাকায় আতার গুরুত্ব অনেকটাই। এছাড়া আরও আতার রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা।

আপনার কি ল্যাকটোজ ইনটোলারেন্স রয়েছে? আতা হল দুগ্ধ-ভিত্তিক ক্রিম, কনডেন্সড মিল্ক, ক্যারামেল সস এবং ক্রিম পনিরের জন্য একটি চমৎকার উদ্ভিদ-ভিত্তিক বিকল্প।