ওজন কমাতে রোজ জিমে গিয়ে কসরত করছে, ডায়েট অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এসেনশিয়াল অয়েলের গন্ধে কমে যেতে পারে আপনার ওজন? এসেনশিয়াল অয়েলের গন্ধ শুঁকলে কিংবা গায়ে একটু ঘষে নিলে খিদে কমে এবং কর্মশক্তি বেড়ে যায়। এখান থেকেই কমে ওজন। কিন্তু এর জন্য কোন এসেনশিয়াল অয়েলগুলো কার্যকরী দেখে নিন...
লেমন এসেনশিয়াল অয়েল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। এর পাশাপাশি এটি শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমক্ষমতা উন্নত করে। এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। মেজাজকে চাঙ্গা করতে লেমন অয়েল শুঁকেও নিতে পারেন। এই কারণে আপনি রুমফ্রেশনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন একে।
পিপারমেন্ট অয়েল যে কোনও ধরনের প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়ক। একই সঙ্গে এই তেলের গন্ধে জাঙ্ক ফুড খাওয়া প্রতি প্রবণতা কমে যায়। এই এসেনশিয়াল অয়েল আমাদের কর্মক্ষমতাকেও বাড়াতে সহায়তা করে, যেখান থেকে ওজন কমে।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে ল্যাভেন্ডার অয়েল। এতে ভাল ঘুম হয়। আর এই বিষয়গুলি সুস্থ থাকার জন্য এবং ওজন কমানোর জন্য ভীষণ ভাবে সহায়ক। রাতে ঘুমানোর আগে বালিশের নীচে বা বিছানায় দু ফোঁটা এই তেল ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ম্যাজিকের মত কাজ হচ্ছে।
জিঞ্জার এসেনশিয়াল অয়েল প্রদাহ, চাপ, চিনিযুক্ত জিনিসের জন্য আকাঙ্ক্ষা হ্রাস করে এবং হজমক্ষমতা উন্নত করে। এই তেলটি থার্মোজেনিক হিসাবেও কাজ করে যার অর্থ এটি চর্বি পোড়াতে এবং আপনার বিপাককে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে। উষ্ণ স্নানের জলে দুই বা তিন ফোঁটা এই এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রেপফ্রুট এসেনশিয়াল অয়েল শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সহায়তা করে। একই সঙ্গে এটি আমাদের শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায়। যে কোনও ক্যারিয়ার অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গ্রেপফ্রুট এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে পেটের ওপর মালিশ করুন। এতেই কাজ হবে।