ওজন কমাতে ভরপুর নানা ধরনের উপায় কাজে লাগাতে থাকেন? জানেন কি, গরমেই চটজলদি ওজন কমানো যায়। যদিও ওজন কমানো ওজন আপনাকে ডায়েটের সঙ্গে কসরত করতেই হবে। গরমের দিনে খাবার খাওয়ার বিশেষ ইচ্ছে থাকে না। হালকা খাবার, বেশি করে জল ও ফল খেলেই কাজ হবে।
গ্রীষ্মকালীন ফল ওজন কমাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। যেহেতু গ্রীষ্মকালীন বেশিরভাগ ফলের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি। তাই এটি পেটকে ভর্তি রাখতে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে কোন ফল খাবেন, রইল টিপস।
গ্রীষ্মকালের তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। এই ফলের ৯২ শতাংশই জল। গরমে তরমুজ খেলে যেমন শরীর ঠান্ডা থাকে তেমনই পেটও ভর্তি হয়ে যায়। এতে খিদেও কম পায়। তাছাড়া এই ফল ফাইবার, ভিটামিন সি, এ, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টিতে পরিপূর্ণ।
শসার মতো স্বাস্থ্যকর ফল গরমে খুঁজে পাওয়া কঠিন। শসার মধ্যে ৯৫ শতাংশ জল রয়েছে। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া শসা খেলে এটি দেহে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।
এই মরশুমে আপনি পাতিলেবুর জল পান করতে পারেন। এই লেবুর জল ভিটামিন সি'তে পরিপূর্ণ। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, কে, ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো পুষ্টি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ওজন সকালে লেবুর জলে চুমুক দিলে ওজন কমতে বাধ্য।
গরমে ওজন কমাতে আপনি খরমুজা খেতে পারেন। তরমুজের মতোই এই ফলের মধ্যে জল রয়েছে। আর রয়েছে ভিটামিন এ, বি, কে, সি এবং জিঙ্ক, কপারের মতো খনিজ পদার্থ রয়েছে। তাছাড়া এতে ক্যালোরি পরিমাণ কম ও ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই ওজন কমাতে অবশ্যই এই গরমে খরমুজা খান।
গরমকালে সকালবেলা খালি পেটে ৫-৬টা করে খেজুর খান। খেজুরের মধ্যে যে সব পুষ্টি পাওয়া যায়, তা স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। খেজুর যেহেতু মিষ্টি স্বাদের হয় তাই এটা খেলে খিদে কম পায়। তার উপর গরমে শরীরকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই ফল।
গরমে আপনি পাকা পেঁপে খেতে পারেন। পাকা পেঁপের মধ্যে ভিটামিন সি এবং ফাইবার রয়েছে। এটি যেমন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনই অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং, ওজন কমাতে গেলে এই ফল খেতেই হবে।