
অনেকেই মনে করেন যে খাবার খাওয়া কমালে ওজন কমবে। কিন্তু আসলে তেমনটা হয় না। আচমকা খাওয়া কমিয়ে দিলে শরীর দুর্বল হয়। এবং বিপাকের হার ধীর করে দেয়। ফলে হ্রাসের পরিবর্তে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। (Pic Credit - Freepik)

কেউ কেউ শুধু ফল বা সবজি খান এবং বাকি জিনিস খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দেন। এটাও ঠিক নয়। এমনটা করলে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন ঢোকে না। ফরে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। (Pic Credit - Freepik)

এইমস-এর ডায়েটিশিয়ান পরমজিৎ কৌর জানিয়েছেন, চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়েই ডায়েট প্ল্যান তৈরি করা উচিত। পুরোপুরি খাওয়া বন্ধ করা কোনও ভাবেই সঠিক উপায় নয়। সবকিছু বুঝেশুনে ডায়েট করলে শুধু ওজনই কমবে না, শরীরও সুস্থ থাকবে। (Pic Credit - Freepik)

পরমজিৎ কৌর জানিয়েছেন যে, প্রতিটি ব্যক্তির সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। যাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ সব যেন সঠিক পরিমাণে থাকে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে। (Pic Credit - Freepik)

অল্প অল্প খাবার খেতে হবে ও ব্যায়াম - দিনে ৫-৬ বার অল্প অল্প খাবার খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। এতে শরীরে এনার্জি থাকে এবং খিদে পায় না। শুধু খাবার কমিয়ে দিলেই ওজন কমবে না। রোজ ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করতে হবে। অল্প হাঁটা উচিত। যোগা বা নাচও করতে পারেন। (Pic Credit - Freepik)

বেশি করে জল পান করতে হবে ও পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন - জল শরীরকে ডিটক্স করে। এবং খিদেও নিয়ন্ত্রণ করে। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ওজন বাড়ে। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম ঠিকমতো প্রয়োজন। (Pic Credit - Freepik)

ডায়েট করার আগে এটা বোঝা জরুরি যে এক এক জনের শরীরের চাহিদা এক এক রকম। অন্য কারও ডায়েট প্ল্যান আপনার জন্য সঠিক নাও হতে পারে। তাই বরাবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ডায়েট এড়িয়ে চলতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ডায়েট যেমন কিটো বা লো-কার্ব ডায়েট সবার শরীরের জন্য ঠিক নয়। (Pic Credit - Freepik)

কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নিজের ভিউ ও লাইক বাড়ানোর জন্য এমন কিছু পোস্ট করেন, যা আদতে সেই ব্যক্তি মেনে চলেন না। এই ধরনের লোকেরা কোনও বিষয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন না। ফলে বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদদের পরামর্শ ছাড়া ডায়েট করা ক্ষতিকারক হতে পারে। (Pic Credit - Freepik)