কখনও খুব ঠান্ডা, আবার কখনও বেশ গরম। এমন আবহাওয়ায় ঠান্ডা লেগে যায়। আর একবার সর্দি-কাশির সমস্যা ধরলে সহজে পিছু ছাড়ে না। আর খুসখুসে কাশি হলে ভোগায় বেশ কিছুদিন। তাছাড়া শীতে রোগের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
শীতের রোগের হাত থেকে দূরে থাকতে আপনি আদার সাহায্য নিতে পারেন। আদা হল এমন এক ভেষজ উপাদান, যার উপকারিতা সহজে গুনে শেষ করা যায় না। বাতের ব্যথা থেকে সর্দি-কাশি, সব সমস্যার সমাধান হতে পারে আদা।
আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীরে প্রদাহ বিরোধী হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া আদার মধ্যে ভিটামিন সি, বি৬, কে, ই এবং প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, কপারের মতো মিনারেলও বেশ ভাল পরিমাণে রয়েছে।
সর্দি-কাশির সমস্যা ছাড়াও আদা বদহজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বমি বমি ভাব, পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দূর করার ক্ষেত্রে আদা দারুণ কার্যকর। আর যদি আপনার হাঁপানির সমস্যা থাকে, তাহলেও আদা সর্বকালের সেরা উপাদান।
রোজের খাদ্যতালিকায় আদা রাখলে আপনিই উপকৃত হবেন। কিন্তু তরকারি, ঝোলে, ঝালে আদা দিলেই যে সবসময় কাজ হবে, এমনটা নয়। এতে খাবারে স্বাদ আসে। উপকারিতা পেতে হলে একটু অন্যভাবে আদাকে কাজে লাগান।
কাশির সমস্যায় আপনি মুখে এক টুকরো কাঁচা আদা ফেলে রাখতে পারেন। অনেক সময় শুকনো আদাও এক্ষেত্রে কার্যকর হয়। এছাড়া আপনি আদা দিয়ে চা পান করতে পারেন। তবে, আপনাকে দিনে ৪-৫ কাপ আদা দিয়ে চা পান করতে হবে।
যে কোনও ডিটক্স ওয়াটারে আদা মিশিয়ে পান করতে পারেন। এতে শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে এবং রোগের ঝুঁকি কমবে। এছাড়া এক কাপ জলে আদা ফুটিয়েও পান করতে পারেন।