
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে পালিত হয় অক্ষয় নবমীর উৎসব। ২১ নভেম্বর অক্ষয় নবমীর পাশাপাশি আজ আবার জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী। প্রথা অনুযায়ী, জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস,এ দিনে সত্যযুগের অবসান ঘটেছিল আর ত্রেতাযুগের সূচনা হয়েছিল।

অক্ষয় নবমীর দিন আমলা গাছের পুজো ও দান করার প্রথা রয়েছে। এই প্রতিকার পালন করলে অনন্ত পুণ্য লাভ হয় ও এর সুফল বহু জন্ম পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এবার অক্ষয় নবমীতে রবি নামের একটি শুভ যোগও তৈরি হচ্ছে, তাই এর গুরুত্ব অনেক অংশে বেড়ে গিয়েছে।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, অক্ষয় নবমীর দিন আমলা গাছের পুজো করার রীতি রয়েছে। এদিনে আমলা গাছের নীচে দুধ নিবেদন করে পূর্ব দিকে মুখ করে ওম ধত্রায়ে নমঃ মন্ত্র জপ করুন। তাতে ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ আশীর্বাদ মেলে ও পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধিতে বজায় থাকে।

অক্ষয় নবমীর দিনে কর্পূর ও ঘি প্রদীপ দিয়ে আমলা গাছের আরতি করে ১০৮ বার প্রদক্ষিণ করুন। এর সঙ্গে আমলা গাছের নীচে ব্রাহ্মণ, দরিদ্র বা অভাবীদের খাবার সরবরাহ করুন। এমনটা করলে দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

অক্ষয় নবমীর দিন আমলা গাছ দান করা খুবই শুভ। এর পাশাপাশি বাড়ির উত্তর দিকে আমলা গাছ লাগানো যায়, তাহলে খুব শীঘ্রই ফলাফল পেতে পারেন। উত্তর দিকে গাছ লাগানো সম্ভব না হলে পূর্ব দিকেও লাগানো যেতে পারে। তাতে বাস্তু দোষ দূর হয়। ঘরে পজিটিভ এনার্জিও বজায় থাকে।

অক্ষয় নবমীর দিনে উপবাস রাখা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এদিনে উপবাস রেখে আমলা গাছের পুজো করুন। সঙ্গে বিষ্ণুদেবকে আমলা নিবেদন করুন। ভোগ নিবেদনের পর আমলা ভোগ হিসেবে গ্রহণ করুন। এতে সব ধরনের পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে গোটা পরিবারের।

জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ । তাই এদিন জগদ্ধাত্রীর কৃপা পেতে এদিন দেবীর থানে নতুন কাপড় বা শাড়ি নিবেদন করতে পারেন। এছাড়া গরিব ও অভাবীকে গরম কাপড় দান করতে পারেন। এই প্রতিকারে ঘরে কানায় কানায় অর্থ ও শস্য ভরে উঠবে, কখনও অভাবের মুখোমুখি হবেন না।

অক্ষয় নবমীর দিন আমলা গাছের পুজো করে হনুমানজিকে সিঁদুর, ছোলা ও পান নিবেদন করতে পারেন। এরপর সুন্দরকাণ্ড পাঠ করলে আরও শুভ হয়।এই প্রতিকারে জীবনের সব সমস্যা থেকেই মুক্তি পেতে পারেন আপনি। বিষ্ণুদেবের পাশাপাশি হনুমানজির আশীর্বাদও পাওয়া যায়।