
প্রত্যেক মন্দিরের রয়েথে পৃথক সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ও মহান ঐতিহ্য। বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী পর্যটকরা মন্দিরে যান ও দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দেশের কিছু ধনী মন্দির রয়েছে, যেগুলি জানা অবশ্যই দরকার।

শ্রী পদ্ভনাভ স্বামী মন্দির- কেলারার তিরুবনন্তপুর শহরে অবস্থিত এই মন্দিরে সারা বিশ্ব থেকে প্রচুর সংখ্যক পর্যটকরা ভিড় করেন। মন্দিরের ভূগর্ভস্থ গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকার মূল্য়বান হিরের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপর থেকেই এই মন্দিরটি দেশের সবচেয়ে ধনী মন্দিরের পরিণত হয়।

তিরুপতি মন্দির- অন্ধ্রপ্রদেশের এই বিখ্যাত মন্দিরটি সকলের ইচ্ছা পূরণ করে, এমন বিশ্বাসেই মন্দির ও বিগ্রহ দর্শন করেন ভক্তরা। পৌরাণিক মতে, এই মন্দিরে ভগবান বালাজি বসবাস করতেন। যিনি ঈশ্বরের কোষাধ্যক্ষ কুবেরকে বিশাল ঋণ দিতে হয়েছিল। এখনও সেই ঋণ পরিশোধ করে চলেছেন। ভক্তরা মন্দিরে বিশাল পরিমাণে নগদ ও মূল্যবান জিনিস দান করেন।

দেশের তৃতীয় ধনী মন্দির। শিরডিতে অবস্থিত এই শিরডি সাই বাবা মন্দির ভারতেক অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থস্থান। এই মন্দিরটি দারিদ্র্যের সবচেয়ে বড় বিচারক হিসেবে শ্রী সাইবাবাকে উত্সর্গ করা হয়েছে। প্রথম জীবনে ফকির হিসেবে জীবনযাপন করে ও ভিক্ষাবৃত্তিতে দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন সাইবাবা।

ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত মন্দিরগুলির মধ্যে মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির অন্যতম। ভগবান গণেশকে উত্সর্গ করে বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরে সারা দিন ধরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ভগবান গণেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সারা দেশের ও বিশ্বের ভক্তরা তাঁকে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস দান করেন।

পঞ্জাবের অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দিরের নাম সার বিশ্ববন্দিত। মন্দিরটি শিখ ধর্মাবলম্বীদের হলেও সেখানে নানা ধর্মের মানুষের ভিড় হয়। মন্দিরের উপরের অংশ মূল্যবান সোনা ও রূপো দিয়ে সাজানো । সোনা দিয়ে মন্দিরটি সুন্দর করে সাজানোর ফলে বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের আকর্ষণের জায়গা করে নিয়েছে।