
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কপালে চন্দন লাগালে জীবনে সুখ আসে এবং ক্ষতিকারক প্রভাব দূর হয়। কুণ্ডলীতে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্যও চন্দন কাঠের প্রতিকার অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।

হিন্দুধর্মে পুজোকর্মে চন্দন কাঠের ব্যবহার বহু প্রচলিত। যে কোনও পুজোয় চন্দনের বিশেষ ব্যবহার করা হয়। চন্দনের প্রলেপ বা মালার ব্যবহার হিন্দু ধর্মে বেশ পরিচিত। সাধারণত, বিষ্ণু ও কৃষ্ণের আরাধনায় চন্দনের ব্যবহার করতে দেখা যায়।

চন্দন কাঠের বেশ কিছু প্রতিকার মেনে চললে ধন-সম্পদের পাশাপাশি জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। বাড়িতে যদি চন্দন কাঠ থাকে, তাহলে সেই অলৌকিক প্রতিকারগুলি কী কী, তা জেনে নিন...

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে কোনও না কোনও সমস্যা থাকলে গুরু পুষ্য নক্ষত্রের একদিন আগে চন্দন গাছের মূলে সিঁদুর, হলুদ চাল, জল অর্পণ করুন। দ্বিতীয় দিন অর্থাত গুরু পুষ্য নক্ষত্রের দিন চন্দন গাছের সামান্য কাঠ এনে একটি লাল কাপড়ে বেঁধে বাড়ির প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দিন। এতে করে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি ফিরে আসবে। ইতিবাচক শক্তির যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।

একটি লাল কাপড়ে চন্দন বেঁধে দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করুন। এরপর লক্ষ্মী ও চন্দন দেবী পুজো করুন। এরপর কনকধারা স্তোত্র পাঠ করুন। পুজোর পর বাড়িতে টাকার জায়গায় চন্দন রেখে দিন। এর জেরে অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত হয় ও অর্থ-শস্যের কোনও অভাব হয় না।

দাম্পত্য জীবনে সুখ ফিরিয়ে আনতে চন্দনের এই প্রতিকার খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হবে। এ জন্য কোনও শুভ সময়ে গঙ্গাজল দিয়ে চন্দনের মূল শুদ্ধ করুন। এরপরে, একটি ছোট টুকরো দিয়ে কোমরে বেঁধে দিন। এর জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সর্বদা ভালোবাসা বজায় থাকবে। উভয়ের জীবনে সর্বদা সুখ-শান্তি থাকবে।

বৃহস্পতি গ্রহ আগামী ২২ এপ্রিল মেষ রাশিতে গমন করতে চলেছে। বৃহস্পতি গ্রহ সুখ, গৌরব, সম্পদ, ঐশ্বর্যের প্রতীক। রাশিতে গুরুর অবস্থান শক্তিশালী হলে কখনওই কোনও কিছুর অভাব হয় না। তাই বৃহস্পতিবার কপালে সাদা বা হলুদ চন্দনের তিলক লাগান। এমনটা করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। এই রাশিতে বৃহস্পতির অবস্থান শক্তিশালী হয়। সেই সঙ্গে ধন-সম্পদ ও গৌরব বৃদ্ধি পায়।

শিশুকে চন্দনের ছালের ধোঁয়া দিলে দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী হয়। পাশাপাশি রোজ চন্দনের তিলক লাগালে শুভ ফল পাওয়া যায়। এতে করে শিশুদের থেকে অশুভ শক্তি চলে যায়। চন্দনের তিলক লাগালে মনে শান্তি বজায় থাকে। প্রতিদিন চন্দনের তিলক লাগালে অগ্নিচক্রও সক্রিয় হয়ে ওঠে।

বাড়ি থেকে বাস্তু দোষ দূর করতে চন্দন কাঠের গুঁড়ো, অশ্বগন্ধা পাউডারে কর্পূর মিশিয়ে ৪০ দিন যজ্ঞ করতে পারেন। যদি এটি সম্ভব না হয় তবে বাড়ির পশ্চিম বা দক্ষিণ দিকে একটি চন্দন গাছ লাগান। এতে করে শুধু ঘরের বাস্তু দোষই দূর হয় না, স্বাস্থ্যও সারাজীবনের জন্য ভালো থাকবে।