
শ্রীরামচন্দ্রের একনিষ্ঠ ভক্তদের মধ্যে বজরঙ্গবলী হলেন সবার প্রথমে। দেবতা না হয়েও হিন্দুধর্মে একপ্রকার দেবতা হিসেবেই পূজিত হয়ে আসছেন তিনি। কথিত আছে, হনুমানজি হলেন অপরাজেয়, অমর ও মৃত্যুঞ্জয়ী। কলিযুগের দেবতা হিসেবেও তিনি অগ্রাধিকার পেয়েছেন।

কথিত আছে, কলিযুগের দৃশ্যমান দেবতা হলেন এই হনুমানজি। শাস্ত্র অনুসারে, প্রতি মঙ্গলবার, বজরঙ্গবলীর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা হয়ষ এই বিশেষ দিনেই শ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গেই পুজো করা হয়। বিশ্বাস করা হয়,মঙ্গলবার উপবাস করে বজরঙ্গবলীর পুজো করলে মঙ্গলের দোষ দূর হয়।

পাশাপাশি জীবনে ও সংসারের সমস্ত বাজে কাজ থেকে দূরে রাখতে ও শত্রদের বিনাশ করার শক্তি পেতে বজরঙ্গবলীর পুজো করা হয়ে থারে। তবে বজরঙ্গবলীর অপার আশীর্বাদ পেতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। বেশ কিছু কাজ করার ক্ষেত্রেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

সামান্য ভুলেই হতে পারে রচরম ক্ষতি। তাই বজরঙ্গবলীকে সন্তুষ্ট করতে প্রতি মঙ্গলবার কখনওই এই ৫ কাজ করবেন না। সাবধান ও সতর্ক থাকুন। প্রতি মঙ্গলবার যদি হনুমানজির পুজো করেন, তাহলে কী কী করা উচিত, তা জেনে নিন এখানে...

জ্যোতিষীর মতে, শাস্ত্রে হনুমানকে শ্রীরামের পরম ভক্ত, শিশু ব্রহ্মচারী ও কলিযুগের প্রকৃত জাগ্রত দেবতা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কিছু জিনিস বা কাজ করলে ভীষণ রেগে যান তিনি। তাই, বজরংবলীর ভক্তদের ভুল করেও আমিষ, মদ বা কোনও ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা উচিত নয়।

মঙ্গলবার ভগবান শ্রী রামের সঙ্গে হনুমানজিরও পূজা করা হয়। এ দিনে বজরঙ্গবলীর পূজা করলে মঙ্গল দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। এদিন ভক্তরা কখনওই অন্য কাউকে অপমান করবেন না। বিশেষ করে ভিক্ষুক, গরিব, রোগী, প্রতিবন্ধী বা বয়স্ক মানুষদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানান। তাতে মঙ্গলের দোষ কেটে যেতে পারে।

জ্যোতিষীর মতে, মঙ্গলবার শ্রীরামচন্দ্র ও হনুমানজির পুজো করার পাশাপাশি শিবেরও পুজো করা উচিত। কোনও ভক্ত এ দিনে ভগবান শিবের পূজা না করলেও তাকে অপমান করা উচিত নয়। তাতে বজরঙ্গবলী রেগে যান। আসতে পারে সমস্যার ঝড়।

হনুমানজির ভক্তদের সম্পূর্ণরূপে পারিবারিক ব্রহ্মচর্য পালন করা উচিত। এর পাশাপাশি, স্ত্রী ছাড়াও অন্যান্য মহিলাদের প্রতি যেমন মা, বোন ও কন্যার অনুভূতি থাকা উচিত।
