Kali Puja 2024: বাংলার ৬ কালী মন্দির, শ্যামা পুজোর দিন একবার গেলেই পূরণ হয় সব মনবাঞ্ছা
Kali Puja 2024: মনবাঞ্ছা পুরণের আশায় ভক্তরা ভিড় জমান কালী মন্দিরে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই বাংলায় এমন ৬টি কালীক্ষেত্র রয়েছে যেখান থেকে কখনও খালি হাতে ফেরেননি ভক্তরা।
1 / 8
বাংলায় যে সব দেবদেবীর পুজো নিয়ে সব থেকে বেশি মাতামাতি হয় তার মধ্যে অন্যতম হল দেবী কালিকা। জাগ্রত রূপেও কালীর সুনাম রয়েছে। কথিত মা যেমন উগ্রচণ্ডা, তেমনই দয়াময়ী। যাঁর কেউ নেই, তাঁর মা আছেন। ভক্তিভরে, শুদ্ধ চিত্তে মায়ের কিছু চাইলে তিনি কাউকে খালি হাতে ফেরান না। কালীর রয়েছে অনেক রূপও। কোথাও তিনি দক্ষিণা কালী, কোথাও তিনি সিদ্ধেশ্বরী, কোথাও তিনি আবার শশ্মান কালী। কলকাতাও এক সময়ে পরিচিত ছিল কালীক্ষেত্র রূপে।
2 / 8
তিলোত্তমার বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক কালী মন্দির। আবার সারা বাংলাতেও রয়েছে প্রচুর কালী মন্দির। ডাকাত কালী, কৃষ্ণ কালী রয়েছে আরও নানা রূপ। মনবাঞ্ছা পুরণের আশায় ভক্তরা ভিড় জমান কালী মন্দিরে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই বাংলায় এমন ৬টি কালীক্ষেত্র রয়েছে যেখান থেকে কখনও খালি হাতে ফেরেননি ভক্তরা। এই প্রতিবেদনে রইল সেই সব মন্দিরের হদিস।
3 / 8
কালীঘাট - দক্ষিণ কলকাতার কেবল কালী মন্দিরই নয়। শক্তিপীঠ বটে। কথিত এখানে সতীর ডান পায়ের চারটি আঙুল পড়েছিল। বুড়ি গঙ্গার অদূরে এই মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত বলে মনে করা হয়। কালীঘাটের মূল মন্দিরের ৬টি খণ্ড। নাটমন্দির,ষষ্ঠী তলা, হাড়কাঠতলা,রাধাকৃষ্ণ মন্দির,চোর বাংলা, কুন্ড পুকুর। এখনও পুজোর দিনে বলি দেওয়া হয়। ভিড় করেন অনেক ভক্ত। এখানে পুজো দিলে পূরণ হয় মনবাঞ্ছা।
4 / 8
কঙ্কালীতলা মন্দির - সতী পীঠগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই বীরভূমের কঙ্কালীতলা মন্দির। কথিত এই স্থানে দেবীর কঙ্কাল বা কোমড়ের হাড়ের কিছু অংশ পড়েছিল। সেই কোমড়কে ভগবান শিব এক কুন্ডের মধ্যে গুপ্ত অবস্থায় রেখে গিয়েছিলেন। তাই এই মন্দিরকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। জাগ্রত এই মন্দিরে আজও দেবীর কোনও মূর্তি বা বিগ্রহ নেই। বাৎসরিক পুজোর সময় কালী প্রতিমা নির্মাণ করে পুজো করা হয়।
5 / 8
দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির - কলকাতার জাগ্রত কালী মন্দিরের কথা হবে আর সেখানে দক্ষিণেশ্বরের নাম আসবে না তা কখনও হয়। রানি রাসমনির উদ্যোগে ১৮৫৫ সালে নির্মাণ হয় এই মন্দিরের। মা এখানে পরিচিত ভবতারিণী রূপে। মায়ের পাগল ছেলে ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেবের সাধনা ক্ষেত্রও মন্দির। মূল কালী মন্দির ছাড়াও এই মন্দিরে রয়েছে ১২টি আটচালার শিব মন্দির। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই বিশেষ মন্দির নির্মাণ করেন দেবী কালিকা।
6 / 8
সর্বমঙ্গলা মন্দির - গড়বেতার বিশেষ মন্দির কিন্তু জাগ্রত রূপেই পরিচিত। কথিত, রাজা বিক্রমাদিত্য শবদেহের উপরে বসে দেবীর আরাধনা করতেন। জনশ্রুতি, এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। এমনকি ভারতে একমাত্র উত্তরমুখী মন্দির এটিই। শোনা যায়, এক রাতে সাতটি পুকুর খনন করে তার মধ্যে নির্মাণ করা হয় মন্দিরটি। দেবীর সর্বমঙ্গলার মূর্তিটি অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি।
7 / 8
বড়মা - সমাজমাধ্যমের দৌলতে নৈহাটির 'বড়মা'-এর কথা আজ প্রায় সকলেই জানেন। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে পূজিত হয়ে আসছেন মা। গত বছর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মায়ের নতুন মন্দির। সেখানেই রয়েছে মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তিও। কথিত, বড়মা ধর্ম, জাতপাতের ভেদাভেদ করেন না। তাঁর কাছে কোনও মনবাঞ্ছা নিয়ে গেলে, কখনও অপূর্ণ থাকে না।
8 / 8
কীর্তিশ্বরী মন্দির - ৫১ পীঠের অন্যতম মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হল এই প্রসিদ্ধ মন্দিরটি। এটি জেলার অন্যতম প্রাচীন একচি কালী মন্দির। প্রাচীন মন্দিরটিতে মুক্তেশ্বরী মন্দিরও বলা হয়। কথিত আছে,দেবী সতীর মুকুট এই স্থানে পড়েছিল। কিন্তু এই মন্দিরে দেবীর কোনও মূর্তি বাবিগ্রহের পুজো করা হয় না। একটি কালো পাথরকেই বিগ্রহ রূপে পুজো করা হয়। এই মন্দিরের পুরাতন কাঠামো নষ্ট হয়ে গেলেও নতুন আঙ্গিকে এই মন্দিরে ফের গড়ে তোলা হয় উনিশ শতকে। জমিদার দর্পনারায়নের তত্ত্বাবধানে তৈরি হওয়া মন্দিরটি সারা বাংলাজুড়ে প্রসিদ্ধ। ভক্তরা মনে করেন, এখানে দেবীর কাছে ভক্তিভরে পুজো দিলে তাদের মনস্কামনা পূরণ হয়।