
ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি। আর বাঙালির আর পাঁচটা পছন্দের পর্যটন ক্ষেত্রের মধ্যে অন্যতম হলো শান্তিনিকেতন। প্রতি বছর বহু পর্যটক ভিড় করেন এখানে। তবে এখন করোনা চলছে সেই কারণে বন্ধ রয়েছে পর্যটনকেন্দ্রগুলি। তবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরলে শান্তিনিকেতন যে আগের মত গমগম করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এবার শান্তিনিকেতন গেলে চোখে পড়বে এক অন্য ছবি।

বিশ্বভারতীর অধ্যাপক আশীষ ঘোষ শান্তিনিকেতন এবং শ্রীনিকেতনের বেশ কয়েকটি নষ্ট হয়ে যাওয়া গাছে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর শিল্পকর্মকে। আর সেই শিল্পের নাম দিয়েছেন নেচার আর্ট। কিন্তু কী এই শিল্প?আসলে এখানকার যে সমস্ত গাছগুলি বয়স জনিত কারণে বা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেই গাছগুলিকে নিজের শিল্পের কারুকার্য করার জন্য বেছে নিয়েছেন তিনি। ফেলে দেওয়া বিভিন্ন সামগ্রী যেমন খেজুর গাছের অংশ,ঘাস, পাতা, মাটির ভাঁড় শুকনো ডাল ইত্যাদি দিয়ে মরা গাছগুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রাণ।

শান্তিনিকেতনের সৌন্দর্যায়নের অন্যতমই গাছ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তবে দীর্ঘদিন ধরেই এখানে লক্ষ্য করা যেত মৃত গাছ। ফলত সেই গাছগুলিতে যখন এইরূপ শিল্প ফুটে উঠেছে বলা বাহুল্য তা এখন নজর কাড়ছে সকলের। আগামীতে পর্যটকরা আসতে শুরু করলে তাঁদের কাছেও এটা যে এক অন্যতম দৃশ্য হতে চলেছে তা বলাই যায়।

অধ্যাপক আশীষ ঘোষ জানিয়েছেন, করোনার কারণে বিশ্বভারতীতে বন্ধ রয়েছে অফলাইন পঠন-পাঠন। সেই কারণেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করেন তিনি। আর তার জন্যই এই গাছগুলিকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতী সৃজনী শিল্পগ্রামের সামনে, শ্রীনিকেতন শিল্প সদনের সামনে বেশ কয়েকটি গাছে তার শিল্পকর্মকে ফুটিয়ে তুলেছেন। আগামীতে পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় স্থান কোপাই নদীর ধারে এমন কিছু কাজ তিনি করতে চলেছেন।

পাশাপাশি বলেন যে, শুধু এই কয়েকটি কাজই নয় আগামী দিনে শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন এলাকার সমস্ত এমন পরিত্যক্ত গাছেই এই ধরনের কাজ তিনি করতে চান। শান্তিনিকেতনের অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝেই এই নতুন শিল্পকর্ম বাঙালির পর্যটন কেন্দ্রকে যে আরও সুন্দর করে তুলবে তা সত্যিই আর বলার অপেক্ষা রাখে না।