ওবেসিটি এমন একটি সমস্যা, যেটা তরুণ প্রজন্ম সবচেয়ে বেশি ভুগছে। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চার অভাবে, এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার জন্য ওজন বেড়ে যায়। এমন জীবনধারাই শরীরে রোগ বৃদ্ধি ঘটায়।
ওজনকে বশে রাখতে না পারলে খুব মুশকিল। এখান থেকে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। সুতরাং, সুস্থ জীবনযাপন করতে গেলে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে।
ওজন কমানোর কোনও শর্টকাট নেই। আপনাকে নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। ডায়েট মেনে খাবার খেতে হবে। এছাড়াও আপনাকে এমন কিছু পানীয়র উপর ভরসা রাখতে হবে, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করবে এবং মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।
শীতের সকালে রোজ গাজরের রস পান করুন। গাজরের রস পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। এতে ফাইবার রয়েছে এবং ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। গাজরের রস হজমে সহায়তা করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
বাঁধাকপির রসও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই সবজির পেট ফোলা, বদহজমের সমস্যা দূর করে। পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে বাঁধাকপির রস। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিটরুটের রসও খুব উপকারী। এই সবজিতে ক্যালোরি কম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, বিটের রস রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং রক্তকে পরিশুদ্ধ করে।
পালং শাক হল সুপারফুড। সুতরাং, এই সবজির রস খেলে হাজারো উপকারিতা পাবেন। কম ক্যালোরি যুক্ত পালং শাকের রস খেলে ওজন কমবেই। পাশাপাশি ইমিউনিটি বৃদ্ধি হবে। রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারবেন পালং শাকের রস পান করে।
ওজন কমাতে লাউয়ের রস পান করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লাউয়ের রস পান করলে এটি শরীরকে সমস্ত দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। ফাইবার থাকায় লাউয়ের রস অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। পাশাপাশি ওজন কমে যায়।