
হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গিয়েছে শীত। আর তাই মার্চের শুরু থেকেই ভোগাচ্ছে গরমের দাপট। রোজ চড়ছো তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও। গরমে ঘাম বেশি হয়, শরীর তাই তাড়াতাড়ি জলশূন্য হয়ে পড়ে। যে কারণে গরমের দিনে বেশি পরিমাণে জল খেতেই হবে। কাল সবাই জমিয়ে রং খেলেছেন। আজও অনেক জায়গায় হোলি। তবে এসব অনুষ্ঠানের দিনে রোজকারের রুটিন থেকেও ছেদ পড়ে।

আর গরমে জল কম খাওয়া হলে সেখান থেকে শরীরে একাধিক সমস্যা আসেই। রং খেলতে গিয়ে হুল্লোড়ের মধ্যে অনেকেরই হয়তো তা মাথায় থাকে না। ভাং, ঠান্ডাই এসব খাওয়ার ফলে জল কম খাওয়া হয়। এরপর অন্যান্য খাবার তো চলতেই থাকে। ফলে ডিহাইড্রেশন, হজমের সমস্যা হস একাধিক অসুবিধে হয়। সেই সঙ্গে মাথাও ধরে থাকে।

আর তাই পরদিন আগে বেশি করে জল খেতে হবে। সারাদিনে অন্তত তিন লিটারের বেশি জল খান। মেপে ৮-১০ গ্লাস জল খেতেই হবে। পাশাপাশি ডাবের জল, ফলের র, ফল এসবও চলতে থাকুক। গরমে শরারে খনিজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা, ইলেকট্রোলাইটের মধ্যে সমতা বজায় রাখা খুব জরুরি। আর তাই ডাবের জল, লেবু জল, বাটার মিল্ক এসব খেতে ভুলবেন না।

সব সময় প্রোবায়োটিক খান। এসব খাবার অন্ত্রের জন্য ভাল। রোজ দুপুরে একবাটি করে টকদই খান। এছাড়াও দই দিয়ে ঘোল বানিয়ে নিন। বানিয়ে নিতে পারেন গন্ধরাজ লেবু দিয়ে ঘোলও। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা মোকাবিলা করতে প্রোবায়োটিক খাবার খুব ভাল কাজ করে। যার ফলে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনাও কমে।

তরমুজ, ডাব, পেঁপে এসব ফল এই কদিন বেশি করে খেতে হবে। নিয়ম করে রোজ দুপুরে একটা করে ডাব খেতে হবে। এছাড়াও শসা, পেয়ারা এসব ফলও খান। দুপুরে ফ্রুট স্যালাড খান। যত বেশি হালকা খাবার খাবেন ততই ভাল। যে কোনও প্যাকেটজাত খাবার একদম এড়িয়ে চলুন।

গরমের দিনে আইসক্রিম, স্মুদি এসব খেতে ভাল লাগে। তাই বলে বেশি পরিমাণে খাবেন না। কারণ এর মধ্যে চিনি থাকে। যা শরীরের জন্য একেবারে ভাল নয়। দিনের শুরুতে ছাতুর শরবত খান। রোজ, রোজ স্মুদি খেলেই যে ওজন কমে যাবে এমন কিন্তু একেবারেই নয়। প্রয়োজনে ফল খান, অন্য খাবার খান, দই চিঁড়ে খান। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে।

ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট (ইলেক্ট্রোলাইট) শরীরের তরল পূরণে অত্যন্ত সহায়ক। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। তাই গরমে সব সময় পকেটে ওআরএস রাখুন। মাথা যন্ত্রণা করলে, মাথা ঝিম ঝিম করলে, ক্লান্ত লাগলে আগে ওআরএস জলে গুলে খান। এতে অন্য সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাবেন।