
১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় মকর সংক্রান্তিতে এই সাগরস্নান ঘিরে। তৈরি প্রশাসনও। শুক্রবার থেকেই সিভিল ডিফেন্সের বোটের টহল শুরু। খোলা হয়েছে মেগা কন্ট্রোল রুম।

১০৫০ সিসিটিভি রয়েছে সেই মেগা কন্ট্রোল রুমে। মনিটর রয়েছে ৫২টি। পিলগ্রিম ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। ২১ টি জায়ান্ট স্ক্রিন আছে মেলার মধ্যে।

ভেসেল, লঞ্চ, আউট্রাম ঘাট থেকে সাগর পরিবহণ ব্যবস্থা, পুণ্যার্থীদের সংখ্যা, বাস ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা থাকছে সমস্ত কিছু ট্র্যাকিংয়ে। থাকছে হ্যাম রেডিও, ১১ টি এলইডি স্ক্রিন ও ৪টি মুভিং এলইডি স্ক্রিন। তাতেই চলবে লাইভ স্ট্রিমিং। সমস্ত ফিড সরাসরি যাচ্ছে নবান্নে।

এদিন সাগরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। জানান, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য ১৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। ব্যারিকেড, পুলিশ ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে।

সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ মোতায়েন আছে। ভারত ছাড়াও বিদেশের মানুষ এসেছেন। তাই বাংলা, হিন্দি, তামিল-সহ বিভিন্ন ভাষায় পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে ঘোষণা করা হচ্ছে।

কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে দমকলের তরফেও। গঙ্গাসাগরের দমকল অফিসে থাকছে ১১টি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন। ৩০০টি হাইড্রেনের ব্যবস্থা থাকছে। ৫০টি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, ১১টি পাম্প হাউস, ১০টি টেন্ডার থাকছে। সঙ্গে ২০০ জন দমকল কর্মী।

এখনও অবধি (৫-১৩) জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে ৩১ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছেন বলে জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অনলাইন বুকিংয়ের মাধ্যমে দর্শন করেছেন ৪০ লক্ষ মানুষ।

প্রশাসনের বিশ্বাস, এবারের গঙ্গাসাগর মেলা অন্যান্য বছরের রেকর্ড ভেঙে দেবে। বাংলার পাঁচ মন্দিরের দর্শন এবার গঙ্গাসাগর মেলার অন্যতম আকর্ষণ।

রয়েছে কালীঘাট, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও মালদার জহুরা কালীমন্দির। এই পাঁচ মন্দিরকে 'বাংলার মন্দির' নামে তুলে ধরা হয়েছে। পাঁচ মন্দিরকে একত্রে তুলে ধরা হচ্ছে ‘বাংলার মন্দির’ নামে।