
এটি একটি দেশি ফল। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় এই ফল পাওয়া যায়। যা থেরাপিউটিক ফল হিসেবে পরিচিত। প্রাচীন কাল থেকেই এই ফলের ব্যবহার হয়ে আসছে। কাঁচা, পাকা, চাটনি আকারে আমলা যে কেউ যেকোনও সময়ে খেতে পারেন।

মিষ্টি আচারের মত আমলার মোরাব্বা বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। শীতের সময় এই ফলের এমন রেসিপি স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল। কিন্তু ঘরে কীভাবে এটি তৈরি করবেন তা জেনে নিন এখানে...

প্রথম ৩০টি আমলকি ধুয়ে তাতে কাঁটাচামচ দিয়ে আমলকির গায়ে ফুটো করেন। এবার সেগুলি ২ টেবিলস্পুন ফটকিরির জলে ডুবিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এতে আমলার তিক্ততা দূর হয়ে যাবে। এরপর, পরের দিন সকালে একটি প্যানে পর্য়াপ্ত পরিমাণে জল ফোটাতে দিন। তাতে আমলাগুলি দিয়ে দিন। ২০ মিনিট সেদ্ধ করার পর সেগুলি একপাশে রেখে দিন। আমলাগুলি স্পঞ্জি ও নরম হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে দিন।

এরপর মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। ঢেকে রেখে কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টার জন্য শুকোতে দিতে হবে। এরপর আবার মিশ্রণটি সেদ্ধ করতে দিন। যতক্ষণন না সিরাপটি ঘন হচ্ছে ততক্ষণ সেটি গরম করুন। এরপর এক চিমটে জাফরন ও ২ টেবিলস্পুন এলাচগুঁড়ো দিয়ে নেড়ে নিন।

ঠান্ডা হলে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তৈরি করুন আমলার মোরাব্বা। পরিস্কার কাঁচের কন্টেনারে রাখলে টানা ১২ মাস মজুত করে রাখতে পারবেন।

শীতকালে নিয়মিত আমলার মোরাব্বা খেলে সর্দি, কাশি ও ফ্লুকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফ্যাটবার্ন করতেও সাহায্য করে। এছাড়া ইনসুলিনের সংবেদনসীলতা উন্নত করতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

মুরাব্বা ছাড়াও, আপনি চাটনি, চুবানো, শরবত, আচার এবং চ্যবনপ্রাশ তৈরি করতে পারেন। যেগুলি সত্য়িই শরীরের জন্য বেশ কার্যকরী।