
হাড়ের ক্ষয় থেকে অস্টিওপোরোসিস-সহ একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে। এখন ৪০ পেরোলেই মানুষ গাঁটের ব্যথা, কোমরে ব্যথার সম্মুখীন হচ্ছে। আর একটু বয়স বাড়লে তো হাঁটা চলাতেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চার অভাব এবং পুষ্টির অভাবই মূলত হাড়ের ক্ষয় বাড়িয়ে তোলে। হাড়কে ভাল রাখতে গেলে আপনাকে খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিতেই হবে। প্রথম থেকে ডায়েটের খেয়াল রাখলে বয়স বাড়লেও এই সব ব্যথা-যন্ত্রণা নিয়ে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না।

হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য বিশেষ কিছু ভিটামিন ও মিনারেলের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া মহিলাদের মধ্যে বাতের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বাতের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা দূরে রাখতে কী ধরনের পুষ্টি পাতে রাখবেন, দেখে নিন...

একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম এবং মহিলাদের ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম প্রয়োজন হয়। এই পুষ্টির অভাব কিন্তু হাড়ের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই ডায়েটে দুধ ও দুগ্ধজাত বেশি করে রাখুন। এছাড়া শীতের মরশুমে আপনি পালং শাক, বাঁধাকপির মতো খাবার খেতে পারেন।

শরীর ভিটামিন ডি-এর অভাব হাড়ের ব্যথা, যন্ত্রণা বাড়ায়। ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে বড় উৎস হল সূর্যের আলো। শরীরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করতে সপ্তাহে অন্তত ৩০ মিনিট সূর্যের আলো গায়ে লাগান।

শীতে সূর্যের আলোর অভাব শরীরে বাতের ব্যথা বাড়ায়। এই শীতে অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ। এক্ষেত্রে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। ডিম, মাশরুম, সামুদ্রিক মাছ, দুধের মতো খাবারে স্বল্প পরিমাণে এই পুষ্টি থাকে। সেগুলো খেতে পারেন।

ভিটামিন কে কিন্তু হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে দরকার। এ জন্য সবুজ শাকসবজি বেশি করে খান। পালং শাক, লেটুসের মধ্যে ভিটামিন কে রয়েছে। এছাড়া আমন্ড ভিটামিন কে-এর সমৃদ্ধ উৎস।

হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে প্রোটিন জরুরি। এর জন্য আপনাকে মাছ, মাংস, ডিম খেতেই হবে। আর যদি আপনি নিরামিষভোজী হন, তাহলে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হিসেবে ডাল, সোয়া, পনির এসব খেতে পারেন।

ক্যালশিয়াম ছাড়াও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক ভীষণ জরুরি। এই দুই পুষ্টির ঘাটতিও কিন্তু আপনার মধ্যে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। সুতরাং, আপনাকে ডায়েটে কুমড়োর বীজ, পালং শাক, ডাল, তাজা ফল, বিভিন্ন বাদাম রাখতেই হবে।