
আগামী ২৫ এপ্রিল, সকাল ৬টা ২০ মিনিট মেঘ লগ্নে কেদারনাথ ধাম দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। এদিন থেকে আগামী ৬ মাস চারধাম যাত্রা সাধারণের জন্য খোলা থাকবে।

বাবা কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খোলার আগেই পালন করা হয় ঐতিহ্য মেনে চলা হয়। এই ঐতিহ্য, আচারগুলি ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। মন্দিরের দরজা খোলার আগে, ২০ এপ্রিল ভৈরবনাথজির পুজো হবে।

এরপর ২১ এপ্রিল বাবা কেদারনাথের পঞ্চমুখী ডলি উখিমঠ থেকে কেদারনাথ ধামের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। এরপর ২৪ এপ্রিলের মধ্যে, দোলযাত্রার মাধ্যমে পায়ে হেঁটে ধামে পৌঁছে দেওয়া হবে। পরের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়।

গত বছর, ২৭ অক্টোবর কেদারনাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রতি বছর শীতের শুরুতে ছয় মাস ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকে বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী মন্দির ।

পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, ভগবান শিব কেদারনাথ মন্দিরে পাণ্ডবদের কাছে ষাঁড়ের আকারে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই এখানে ষাঁড়ের মতো লিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেদারনাথ ধাম বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে পঞ্চম ও উত্তরাখণ্ডের চারটি ধামের মধ্যে তৃতীয়।

উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত কেদারনাথকে নিয়ে এখনও রহস্য রয়েছে। কথিত আছে, কেদারনাথ ধামের দরজা ছয় মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেলেও সেখানে একটি অক্ষয় প্রদীপ জ্বালানো হয়।

ছয় মাস বন্ধ থাকার ফলে মন্দির ও তার আশেপাশে কেউ থাকেনও না। সেই সঙ্গে তীব্র ঠান্ডা ও পুরু বরফের মধ্যে কেউ থাকার কথাও নয়। তবুও আশ্চর্যভাবে একটি ঘটনা ঘটে।

আশ্চর্যের বিষয় হল, ছয় মাস পর দরজা খোলার পর ওই অক্ষয় প্রদীপটি ঠিক সেইভাবেই জ্বলতে থাকে। টানা ৬ মাস ধরে সেই প্রদীপ জ্বলতে থাকে।