Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভের পর নাগাসাধুরা কোথায় যান? জীবনের সেরা ‘সিক্রেট’ জানেন না অনেকেই

Hinduism: নাগা সাধু হওয়া থেকে শুরু করে এই সাধুদের জীবন ও তাদের জীবনযাপন পদ্ধতিও বেশ রহস্যময়। এই কারণেই অধিকাংশ সাধারণত মানুষের এই ঋষি-সাধুদের সম্প্রদায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। কুম্ভের মত বিশেষ অনুষ্ঠানে দেখা নাগা সাধুরা কুম্ভের পর হঠাৎ কোথায় হারিয়ে যায় তাও ভাবার বিষয়। কারণ পবিত্র নদী বা তীর্থস্থান ছাড়া অন্য কোথাও নাগা সাধুদের খুব কমই দেখা যায়।

| Edited By: দীপ্তা দাস

Dec 09, 2023 | 2:29 PM

1 / 10
গোটা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা। কুম্ভ মেলা প্রতি চারবছর অন্তর পালন করা হলেও প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিকে পালিত হয় মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ। এছাড়া প্রচি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে পালিত হয় অর্ধকুম্ভ।

গোটা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা। কুম্ভ মেলা প্রতি চারবছর অন্তর পালন করা হলেও প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিকে পালিত হয় মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ। এছাড়া প্রচি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে পালিত হয় অর্ধকুম্ভ।

2 / 10
২০১৩ সালে মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল। হিন্দুধর্মে যেমন এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনন্য গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারেও এই অনুষ্ঠানের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। এই মহাকুম্ভের সঙ্গে মিশে রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্র, ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভারতীয় সংস্কৃতি।

২০১৩ সালে মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল। হিন্দুধর্মে যেমন এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনন্য গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারেও এই অনুষ্ঠানের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। এই মহাকুম্ভের সঙ্গে মিশে রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্র, ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভারতীয় সংস্কৃতি।

3 / 10
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুাসের, মেষ রাশির চক্রে বৃহস্পতি, সূর্য ও চন্দ্র মকর রাশিতে প্রবেশ করলে মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০২৪ নয়, এই পূর্ণকুম্ভের আয়োজন করা হবে ২০২৫ সালে। ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই মহামেলা। ক্যালেন্ডার অনুসারে শেষ শাহি স্নান পালন করা হবে ৮ মার্চ।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুাসের, মেষ রাশির চক্রে বৃহস্পতি, সূর্য ও চন্দ্র মকর রাশিতে প্রবেশ করলে মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০২৪ নয়, এই পূর্ণকুম্ভের আয়োজন করা হবে ২০২৫ সালে। ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই মহামেলা। ক্যালেন্ডার অনুসারে শেষ শাহি স্নান পালন করা হবে ৮ মার্চ।

4 / 10
মহাকুম্ভের মত পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য মুখিয়ে থাকেন সাধুসন্তরা। বিশেষ করে নাগাসাধুদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মত। শাহি স্নান ছাড়াও এই সময় সাধুরা ডেরা বেঁধে ধ্যানে মগ্ন থাকেন। ভক্তদের আশীর্বাদও করে থাকেন। সারাবছর ধরে নাগা সাধুদের চোখে দেখা যায় না। তবে নাগা সাধুদের শুধুমাত্র কুম্ভ মেলা, মাঘ মেলার মতো বিশেষ অনুষ্ঠানে দেখা যায়।

মহাকুম্ভের মত পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য মুখিয়ে থাকেন সাধুসন্তরা। বিশেষ করে নাগাসাধুদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মত। শাহি স্নান ছাড়াও এই সময় সাধুরা ডেরা বেঁধে ধ্যানে মগ্ন থাকেন। ভক্তদের আশীর্বাদও করে থাকেন। সারাবছর ধরে নাগা সাধুদের চোখে দেখা যায় না। তবে নাগা সাধুদের শুধুমাত্র কুম্ভ মেলা, মাঘ মেলার মতো বিশেষ অনুষ্ঠানে দেখা যায়।

5 / 10
নাগা সাধু হওয়া থেকে শুরু করে এই সাধুদের জীবন ও তাদের জীবনযাপন পদ্ধতিও বেশ রহস্যময়। এই কারণেই অধিকাংশ সাধারণত মানুষের এই ঋষি-সাধুদের সম্প্রদায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।

নাগা সাধু হওয়া থেকে শুরু করে এই সাধুদের জীবন ও তাদের জীবনযাপন পদ্ধতিও বেশ রহস্যময়। এই কারণেই অধিকাংশ সাধারণত মানুষের এই ঋষি-সাধুদের সম্প্রদায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।

6 / 10
কুম্ভের মত বিশেষ অনুষ্ঠানে দেখা নাগা সাধুরা কুম্ভের পর হঠাৎ কোথায় হারিয়ে যায় তাও ভাবার বিষয়। কারণ পবিত্র নদী বা তীর্থস্থান ছাড়া অন্য কোথাও নাগা সাধুদের খুব কমই দেখা যায়।

কুম্ভের মত বিশেষ অনুষ্ঠানে দেখা নাগা সাধুরা কুম্ভের পর হঠাৎ কোথায় হারিয়ে যায় তাও ভাবার বিষয়। কারণ পবিত্র নদী বা তীর্থস্থান ছাড়া অন্য কোথাও নাগা সাধুদের খুব কমই দেখা যায়।

7 / 10
নাগা সাধুরা কোথায় থাকেন, কী খান বা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করেন, তা অগোচরেই থাকে। সাধারণ মানুষের কাছে এইসব তথ্য এসে পোঁছায় না। আসলে, এই নাগা সাধুদের জগৎ বেশ গোপন ও রহস্যময়।

নাগা সাধুরা কোথায় থাকেন, কী খান বা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করেন, তা অগোচরেই থাকে। সাধারণ মানুষের কাছে এইসব তথ্য এসে পোঁছায় না। আসলে, এই নাগা সাধুদের জগৎ বেশ গোপন ও রহস্যময়।

8 / 10
নাগা বাবা, যিনি ভগবানের ভক্তিতে নিমগ্ন থাকেন। সমস্ত শরীরে ছাই দিয়ে ঢেকে বিশাল জটা থাকে তাদের মাথায়। সাধারণত পাহাড়, বন, গুহা বা প্রাচীন মন্দিরে বাস করেন নাগা সাধুরা। তাদের থাকার জায়গা এমন এক জায়গায় থাকে, সাধারণ মানুষ সেখানে যান না।

নাগা বাবা, যিনি ভগবানের ভক্তিতে নিমগ্ন থাকেন। সমস্ত শরীরে ছাই দিয়ে ঢেকে বিশাল জটা থাকে তাদের মাথায়। সাধারণত পাহাড়, বন, গুহা বা প্রাচীন মন্দিরে বাস করেন নাগা সাধুরা। তাদের থাকার জায়গা এমন এক জায়গায় থাকে, সাধারণ মানুষ সেখানে যান না।

9 / 10
কুম্ভের আগে বা পরে শুধু ভিক্ষা করে বা জঙ্গল ও পাহাড়ে পাওয়া কন্দ ইত্যাদি খেয়ে পেট ভরান তাঁরা। ধ্যান ও অধ্যবসায়ের জেরে দীর্ঘ সময় ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকতে পারেন নাগারা। প্রকাশ্যে আসতে তারা বেশি পছন্দ করেন না। তাই বনের পথ দিয়ে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। তবে দিনের পরিবর্তে রাতে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তারা।

কুম্ভের আগে বা পরে শুধু ভিক্ষা করে বা জঙ্গল ও পাহাড়ে পাওয়া কন্দ ইত্যাদি খেয়ে পেট ভরান তাঁরা। ধ্যান ও অধ্যবসায়ের জেরে দীর্ঘ সময় ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকতে পারেন নাগারা। প্রকাশ্যে আসতে তারা বেশি পছন্দ করেন না। তাই বনের পথ দিয়ে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। তবে দিনের পরিবর্তে রাতে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তারা।

10 / 10
নাগাসাধুরা বিলাসিতায় বিশ্বাসী নয়। সুখ-ভোগের মত জিনিসপত্র ব্যবহার করেন না। মাটিতে ঘুমান। জীবনে প্রতিটি পদে কঠোর নিয়ম মেনে চলেন। ঈশ্বরের উপাসনায় বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেন।তাদের মধ্যে এমন একটি রহস্যময় জ্ঞান বা ক্ষমতা থাকে, সঙ্গীদের পাঠানো বার্তা গ্রহণ করতে পারেন তাঁরা।

নাগাসাধুরা বিলাসিতায় বিশ্বাসী নয়। সুখ-ভোগের মত জিনিসপত্র ব্যবহার করেন না। মাটিতে ঘুমান। জীবনে প্রতিটি পদে কঠোর নিয়ম মেনে চলেন। ঈশ্বরের উপাসনায় বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেন।তাদের মধ্যে এমন একটি রহস্যময় জ্ঞান বা ক্ষমতা থাকে, সঙ্গীদের পাঠানো বার্তা গ্রহণ করতে পারেন তাঁরা।