Christmas 2023 in Kolkata: বড়দিনে পার্কস্ট্রিটে কেন বাঙালি হেঁটে হেঁটে পা ব্যথা করেন? জানুন মজার ঐতিহাসিক কাহিনি

Christmas Celebrations in Kolkata: ক্রিসমাস এলেই নতুন সাজে সেজে ওঠে এই মাদার টেরেসা সরণী। বর্তমানে এই নামকরণ হলেও লোকের মুখে মুখে এখনও পার্কস্ট্রিট রয়েছে পার্কস্ট্রিটেই। ব্রিটিশআমলের এই রাস্তা বর্তমানে এতটাই জনপ্রিয় যে ক্রিসমাসের সময় ভিড়ের ঠেলায় তিল ধারণের জায়গা থাকে না। জেলা থেকে শহর, সব জায়গা থেকে এদিন এখানে মানুষ পার্কস্ট্রিটের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে শুধু হেঁটেই যায়। সঙ্গে থাকে কেক, পেস্ট্রি, কমলালেবু, কফি, চকোলেট ইত্যাদি।

| Edited By: দীপ্তা দাস

Dec 24, 2023 | 7:41 PM

1 / 10
রাত পোহালেই বাঙালির ক্রিসমাস উত্‍সব শুরু। কেক-পেস্ট্রি, ফ্রুট কেক, লাল শোয়েটার, মাথায় সান্তা টুপি, ক্রিসমাস ট্রির সামনে দাঁড়িয়ে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সেলফি তোলা থেকে শুরু করে রাতে সান্তাক্লজের উপহার পাওয়ার অপেক্ষায় মজে গোটা তিলোত্তমা। গোটা বিশ্বেই ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে ক্রিসমাস। তবে বাঙালির ক্রিসমাসে লুকিয়ে রয়েছে পুরনো ও নতুন মিলিয়ে এক অন্য গন্ধ।

রাত পোহালেই বাঙালির ক্রিসমাস উত্‍সব শুরু। কেক-পেস্ট্রি, ফ্রুট কেক, লাল শোয়েটার, মাথায় সান্তা টুপি, ক্রিসমাস ট্রির সামনে দাঁড়িয়ে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সেলফি তোলা থেকে শুরু করে রাতে সান্তাক্লজের উপহার পাওয়ার অপেক্ষায় মজে গোটা তিলোত্তমা। গোটা বিশ্বেই ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে ক্রিসমাস। তবে বাঙালির ক্রিসমাসে লুকিয়ে রয়েছে পুরনো ও নতুন মিলিয়ে এক অন্য গন্ধ।

2 / 10
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হল কলকাতার পার্কস্ট্রিট। সাহেবি কায়দা, বিদেশি খানাপিনা আর বিলাসিতায় ভরপুর শহরের এই রাজপথ অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভারতের অন্যতম পুরনো শহরগুলির মধ্যে  কলকাতা হল অন্যতম। তাই প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি পুরনো আমলের বাড়ির রয়েছে এক একটি কাহিনি। বাদ যাবে না পার্কস্ট্রিটও।

পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হল কলকাতার পার্কস্ট্রিট। সাহেবি কায়দা, বিদেশি খানাপিনা আর বিলাসিতায় ভরপুর শহরের এই রাজপথ অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভারতের অন্যতম পুরনো শহরগুলির মধ্যে কলকাতা হল অন্যতম। তাই প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি পুরনো আমলের বাড়ির রয়েছে এক একটি কাহিনি। বাদ যাবে না পার্কস্ট্রিটও।

3 / 10
ক্রিসমাস এলেই নতুন সাজে সেজে ওঠে এই মাদার টেরেসা সরণী। বর্তমানে এই নামকরণ হলেও লোকের মুখে মুখে এখনও পার্কস্ট্রিট রয়েছে পার্কস্ট্রিটেই। ব্রিটিশআমলের এই রাস্তা বর্তমানে এতটাই জনপ্রিয় যে ক্রিসমাসের সময় ভিড়ের ঠেলায় তিল ধারণের জায়গা থাকে না।

ক্রিসমাস এলেই নতুন সাজে সেজে ওঠে এই মাদার টেরেসা সরণী। বর্তমানে এই নামকরণ হলেও লোকের মুখে মুখে এখনও পার্কস্ট্রিট রয়েছে পার্কস্ট্রিটেই। ব্রিটিশআমলের এই রাস্তা বর্তমানে এতটাই জনপ্রিয় যে ক্রিসমাসের সময় ভিড়ের ঠেলায় তিল ধারণের জায়গা থাকে না।

4 / 10
জেলা থেকে শহর, সব জায়গা থেকে এদিন এখানে মানুষ পার্কস্ট্রিটের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে শুধু হেঁটেই যায়। সঙ্গে থাকে কেক, পেস্ট্রি, কমলালেবু, কফি, চকোলেট ইত্যাদি।

জেলা থেকে শহর, সব জায়গা থেকে এদিন এখানে মানুষ পার্কস্ট্রিটের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে শুধু হেঁটেই যায়। সঙ্গে থাকে কেক, পেস্ট্রি, কমলালেবু, কফি, চকোলেট ইত্যাদি।

5 / 10
ইতিহাস ঘাঁটলে জানতে পারা যায়, ব্রিটিশ আমলে, পার্কস্ট্রিটের উপরই ছিল বিখ্যাক সাহেবি নাট্যশালা সাঁসচি থিয়েটার। সেখানেই রয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ। রয়েছে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, এশিয়াটিক সোস্যাইটি, সাউথ পার্কস্ট্রিট সিমেট্রি। কিন্তু এই বাড়িগুলি দেখার জন্য ক্রিসমাসের সময় মানুষজন ভিড় করেন না। তাহলে এইসময় রাস্তার উপর বাঙালি কেন হেঁটে হেঁটে পা ব্যাথা করেন?

ইতিহাস ঘাঁটলে জানতে পারা যায়, ব্রিটিশ আমলে, পার্কস্ট্রিটের উপরই ছিল বিখ্যাক সাহেবি নাট্যশালা সাঁসচি থিয়েটার। সেখানেই রয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ। রয়েছে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, এশিয়াটিক সোস্যাইটি, সাউথ পার্কস্ট্রিট সিমেট্রি। কিন্তু এই বাড়িগুলি দেখার জন্য ক্রিসমাসের সময় মানুষজন ভিড় করেন না। তাহলে এইসময় রাস্তার উপর বাঙালি কেন হেঁটে হেঁটে পা ব্যাথা করেন?

6 / 10
ইতিহাস বলছে, পার্কস্ট্রিটের উপর ছিল গভর্নর ভ্যানসিটার্টের নিবাস। পুরনো আমলের বাড়ির ধাঁচে তৈরি বাংলোর পাশেই ছিল পাঁচিল ঘেরা এক বিশাল বাগান। এই বাগানের মালিক ছিলেন উইলিয়াম ফ্র্যাঙ্কল্যান্ড নামে এক সাহেব। বাগান লাগোয়া ঐতিহ্যপূর্ণ বাড়িটির মালিক গভর্নর হেনরি থাকলেও বেশি বছর থাকতে পারেননি। কারণ নবাব সিরাজদৌল্লার কলকাতা আক্রমণের সময় প্রাণ বাঁচাতে পরিবারকে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।

ইতিহাস বলছে, পার্কস্ট্রিটের উপর ছিল গভর্নর ভ্যানসিটার্টের নিবাস। পুরনো আমলের বাড়ির ধাঁচে তৈরি বাংলোর পাশেই ছিল পাঁচিল ঘেরা এক বিশাল বাগান। এই বাগানের মালিক ছিলেন উইলিয়াম ফ্র্যাঙ্কল্যান্ড নামে এক সাহেব। বাগান লাগোয়া ঐতিহ্যপূর্ণ বাড়িটির মালিক গভর্নর হেনরি থাকলেও বেশি বছর থাকতে পারেননি। কারণ নবাব সিরাজদৌল্লার কলকাতা আক্রমণের সময় প্রাণ বাঁচাতে পরিবারকে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।

7 / 10
তারপরে ১৭৭৪ সাল থেকে ১৭৮২ সাল পর্যন্ত ওই বিলাসবহুল বাড়িতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি স্যার ইলোজা ইম্পে। বাড়ির চতুর্দিকে ছিল একটি বিশাল ডিয়ার পার্ক। বিচারপতির শখের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল প্রচুর হরিণ। এর বিস্তার ছিল বিশাল। ক্যামাক স্ট্রিট থেকে রাসেল স্ট্রিট, দক্ষিণের দিকে বেরিং গ্রাউন্ড রোড পর্যন্ত। ছিল ঘন গাছে ঘেরা বিশাল ফটক। সেই থেকে এই রোডের নাম হয় পার্কস্ট্রিট।

তারপরে ১৭৭৪ সাল থেকে ১৭৮২ সাল পর্যন্ত ওই বিলাসবহুল বাড়িতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি স্যার ইলোজা ইম্পে। বাড়ির চতুর্দিকে ছিল একটি বিশাল ডিয়ার পার্ক। বিচারপতির শখের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল প্রচুর হরিণ। এর বিস্তার ছিল বিশাল। ক্যামাক স্ট্রিট থেকে রাসেল স্ট্রিট, দক্ষিণের দিকে বেরিং গ্রাউন্ড রোড পর্যন্ত। ছিল ঘন গাছে ঘেরা বিশাল ফটক। সেই থেকে এই রোডের নাম হয় পার্কস্ট্রিট।

8 / 10
কলকাতায় ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল ২৪ ডিসেম্বর থেকে নয়, ২১ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। চলে ইংরেজি ক্যালেন্ডার মতে নিউ ইয়ার পর্যন্ত। ক্রিসমাস উত্‍সব শুরু হয় অ্যালেন পার্ক থেকে। এই উত্‍সব সকলের। খ্রিস্টান থেকে অখ্রিস্টান, সকলেই গির্জায়, পার্কগুলিতে ভিড় জমান। পিকনিক, পরিবারের সঙ্গে ভ্রমণ সবকিছু নিয়েই মেতে ওঠেন বাঙালি।

কলকাতায় ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল ২৪ ডিসেম্বর থেকে নয়, ২১ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। চলে ইংরেজি ক্যালেন্ডার মতে নিউ ইয়ার পর্যন্ত। ক্রিসমাস উত্‍সব শুরু হয় অ্যালেন পার্ক থেকে। এই উত্‍সব সকলের। খ্রিস্টান থেকে অখ্রিস্টান, সকলেই গির্জায়, পার্কগুলিতে ভিড় জমান। পিকনিক, পরিবারের সঙ্গে ভ্রমণ সবকিছু নিয়েই মেতে ওঠেন বাঙালি।

9 / 10
ক্রিসমাসের দিন পার্কস্ট্রিট পায়ে হেঁটে বেড়ানোও একপ্রকার উত্‍সব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন যাচ্ছেন, কেন হাঁটছেন, কেন উত্‍সব পালন করা হচ্ছে, তা অনেকেই জানেন না। উত্‍সবে মজে গিয়ে পায়ে পা মেলান অধিকাংশ।

ক্রিসমাসের দিন পার্কস্ট্রিট পায়ে হেঁটে বেড়ানোও একপ্রকার উত্‍সব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন যাচ্ছেন, কেন হাঁটছেন, কেন উত্‍সব পালন করা হচ্ছে, তা অনেকেই জানেন না। উত্‍সবে মজে গিয়ে পায়ে পা মেলান অধিকাংশ।

10 / 10
কলকাতায় ক্রিসমাসের আসল উত্তেজনা ও স্বাদ পেতে চান, তাহলে যেতে হবে মধ্য কলকাতার বো ব্যারাকে। আলো, ক্রিসমাস ট্রি, বিদেশি সুস্বাদু খাবার, রেড ওয়াইন, কেক ও উষ্ণ আতিথেয়তার উজ্জ্বল মুখ দেখা যায় এই এলাকায়। ক্রিসমাস ক্যারল, গির্জায় গির্জায় প্রার্থণা, বিশেষ উপাসনা, উপহার, ফুল, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুরই আয়োজন রয়েছে এখানে।

কলকাতায় ক্রিসমাসের আসল উত্তেজনা ও স্বাদ পেতে চান, তাহলে যেতে হবে মধ্য কলকাতার বো ব্যারাকে। আলো, ক্রিসমাস ট্রি, বিদেশি সুস্বাদু খাবার, রেড ওয়াইন, কেক ও উষ্ণ আতিথেয়তার উজ্জ্বল মুখ দেখা যায় এই এলাকায়। ক্রিসমাস ক্যারল, গির্জায় গির্জায় প্রার্থণা, বিশেষ উপাসনা, উপহার, ফুল, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুরই আয়োজন রয়েছে এখানে।