
জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া প্রথম কারণটা অবশ্যই লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর প্রস্থান। প্রায় এক দশক ধরে এল ক্লাসিকোর অন্য নাম ছিল মেসি-রোনাল্ডো দ্বৈরথ। ফুটবল বিশ্বের দুই মহাতারকার লড়াইয়ে দু ভাগ হয়ে যেত ফুটবল বিশ্ব। এছাড়াও দুটো দলে ছিল তারকা ফুটবলারের ছড়াছড়ি। (ছবি:টুইটার)

এল ক্লাসিকো মানেই একরাশ উত্তেজনা আর হার না মানা লড়াই। স্পেনের দুই শীর্ষ ক্লাবের গর্ব ছিল দুই মহাতারকা। ২০০৯ সালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে সই করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। (ছবি:টুইটার)

অপরদিকে বার্সেলোনা লিওনেল মেসির ছোটবেলার ক্লাব। রোনাল্ডো স্পেনে পাড়ি দেওয়ার পর বিশ্বের ঘরোয়া ফুটবল লিগগুলির মধ্যে লা লিগার গুরুত্ব একধাক্কায় বেড়ে যায়। অতীতে এই দুটি ক্লাবে অনেক কিংবদন্তি ফুটবলারের পা পড়লেও জনপ্রিয়তার নিরিখে সব রেকর্ড ছাপিয়ে যান লিও ও ক্রিশ্চিয়ানো। (ছবি:টুইটার)

রোনাল্ডো রিয়াল ছেড়েছেন ২০১৮ সালে। অন্যান্য দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে রিয়াল-বার্সার দ্বৈরথের উত্তাপ কমে যেতে শুরু করে তখন থেকেই। এরপর ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছাড়েন মেসি। এই দুই মহাতারকার বিদায়ে অনেকটাই ম্লান হয়ে যায় এল ক্লাসিকো। (ছবি:টুইটার)

স্পেন থেকে রোনাল্ডো-মেসির প্রস্থানে সমর্থকও হারিয়েছে দুটি ক্লাব। শুধুমাত্র মেসি ও রোনাল্ডোর সমর্থক হওয়ার কারণে অনেকেই বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে সমর্থন করতেন। ফুটবল মহাতারকারা ক্লাব ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকদেরও নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যান। (ছবি:টুইটার)

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা উভয় ক্লাবই জনপ্রিয়তার নিরিখে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাবগুলির মধ্যে পড়ে। এর কারণ অবশ্যই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসি। যাঁদের টানে রিয়াল-বার্সার ম্যাচ দেখার আলাদা তাগিদ অনুভব করতেন ফুটবলপ্রেমীরা। সেই 'টান' এখন আর নেই। (ছবি:টুইটার)

শুধু বিশ্বজুড়ে সমর্থকই নয়, ন্যু ক্যাম্প বা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দর্শক সংখ্যাও কমে গিয়েছে ধীরে ধীরে। স্টেডিয়ামে বসে মেসি-রোনাল্ডো দ্বৈরথ দেখার সুযোগ নেই। তাই মাঠ মুখোমুখো হওয়ার তাগিদ অনুভব করেন না অনেকেই।(ছবি:টুইটার)

রবিবার রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালেও হবে আরও একটি এল ক্লাসিকো। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধের কিং ফাওয়াদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি দুই দল। বর্তমানে সৌদিতেই রয়েছেন রিয়ালের প্রাক্তন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। (ছবি:টুইটার)