Naga Sadhu: মহাকুম্ভ ছেড়ে নাগা সাধুরা ভিড় করতে শুরু করেছেন কাশীতে।কিন্তু কাশীতেই বা কেন। মহাকুম্ভের সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছে মহা শিবরাত্রিও।
৪৫ দিন পরে শেষ হয়েছে মহাকুম্ভ। নাগা সাধুরাও মৌনী অমাবস্যার পর থেকেই শুরু করেছিলেন কুম্ভ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করা। কেউ কেউ বলেন কুম্ভ থেকেই নাকি তাঁরা ফিরে গিয়েছিলেন নিজেদের আখড়ায়। দেখা মিলবে আবার পরের কুম্ভের সময়। যদিও বাস্তব কিন্তু সেই কথা বলছে না।
৪৫ দিন পরে শেষ হয়েছে মহাকুম্ভ। নাগা সাধুরাও মৌনী অমাবস্যার পর থেকেই শুরু করেছিলেন কুম্ভ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করা। কেউ কেউ বলেন কুম্ভ থেকেই নাকি তাঁরা ফিরে গিয়েছিলেন নিজেদের আখড়ায়। দেখা মিলবে আবার পরের কুম্ভের সময়। যদিও বাস্তব কিন্তু সেই কথা বলছে না।
বরং মহাকুম্ভ ছেড়ে নাগা সাধুরা ভিড় করতে শুরু করেছেন কাশীতে।কিন্তু কাশীতেই বা কেন। মহাকুম্ভের সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছে মহা শিবরাত্রিও। জানা যাচ্ছে, কাশীতে মাসান হোলি খেলতেই ভিড় করছেন নাগা সাধুরা। মাসান হোলি অর্থাৎ রঙের বদলে চিতা ভস্ম দিয়ে হোলি খেলেন নাগা সাধুরা।
শিবরাত্রিতে বাবা বিশ্বনাথের কাছে প্রার্থনা করার পর, নাগা সাধুরা এখন ব্যস্ত মাসানের হোলির প্রস্তুতিতে। তবে তার আগে আছে আরও একটি কাজ। মাসান হোলির আগে, নাগা সাধুরা কাশীতে পঞ্চকোশী পরিক্রমা করেন। কী এই পঞ্চকোষী পরিক্রমা? জানেন? কেন করা হয় এই পঞ্চকোষী পরিক্রমা?
৫ মার্চ থেকে শুরু হবে পঞ্চকোষী পরিক্রমা। পঞ্চকোষী পরিক্রমা মানে পাঁচটি প্রধান তীর্থস্থান পরিদর্শন করা। পঞ্চকোষী পরিক্রমা ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। পঞ্চকোষী পরিক্রমা করলে আত্মা পবিত্র হয়। ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ও আত্মসমর্পণের অনুভূতি বৃদ্ধি পায়। বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাট থেকে শুরু হয় পঞ্চকোষী পরিক্রমা।
কর্দমেশ্বর, ভীমচণ্ডী, রামেশ্বর, শিবপুর, কপিলধারা ঘুরে আবার মণিকর্ণিকা ঘাটে এসেই শেষ হয় এই পঞ্চকোষী পরিক্রমা। নাগা সাধুদের কাছে পঞ্চকোষী পরিক্রমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাগা সাধু এবং আখড়ার সাধুরা পঞ্চকোষী পরিক্রমায় অংশগ্রহণ করেন।
এই পরিক্রমার সময়, নাগা সাধুরা তাদের পূজিত দেবতার পরিদর্শনেরও সুযোগও পান। পঞ্চকোষী পরিক্রমা করার মাধ্যমে তাঁদের আধ্যাত্মিক শক্তির বিকাশ ঘটে। পঞ্চকোশী পরিক্রমা জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক।
পঞ্চকোষী পরিক্রমা থেকে নাগা সাধুরা আধ্যাত্মিক শান্তি লাভ করেন। বিশ্বাস, এই পরিক্রমা করলে মোক্ষের দরজাও খুলে দেয়। বিশ্বাস, যে ব্যক্তি পঞ্চকোষী পরিক্রমা করেন, তাঁর সমস্ত পাপ নাশ হয়। জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি আসে।
পঞ্চকোষী পরিক্রমাকে পবিত্রতা, তপস্যা এবং ভক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পঞ্চকোষী পরিক্রমা কাম, ক্রোধ, আসক্তি, অহংকার এবং লোভ এই পাঁচটি পাপ থেকে মুক্তি দেয়। যে ব্যক্তি পঞ্চকোষী পরিক্রমা করে, সে সমস্ত তীর্থস্থান পরিদর্শনের সমান পুণ্য লাভ করেন।