
শীতকাল এলেই তৈরি হয় স্নানের প্রতি অনীহা। রোজ সকালে নিয়ম করে চুলে জল ঢালা হয় না। এমনকি ইচ্ছে করে না নিয়মিত শ্যাম্পু করার। তেল দিলে শ্যাম্পু করতেই হবে, তাই তেলও মাখেন না অনেকে। এতেই বাড়ে চুলের সমস্যা।

শীতের শুষ্ক আবহাওয়ার চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি দূষণ চুলের জেল্লা কেড়ে যায়। তার উপর আপনি যদি ঠিকমতো চুলের দেখভাল না করেন, তখনই চুল পড়া, চিটচিটে স্ক্যাল্পের সমস্যা বাড়ে। শীতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল খুশকি।

শীতের খুশকি সহজে পিছু ছাড়ে না। তার সঙ্গে স্ক্যাল্পে চুলকানি বাড়তে থাকে। নিয়মিত চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার করলে এবং আর্দ্রভাব বজায় থাকলে, খুশকির সমস্যা ধারে কাছে ঘেঁষে না। কিন্তু খুশকির সমস্যা ধরে গেলে কী করবেন?

খুশকির সমস্যা দূর করতে চাইলে ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিন। নিয়মিত চুলে নারকেল তেল মাখুন। নারকেল তেলের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগালে খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন। নারকেল তেল ব্যবহারের আগে অল্প গরম করে নেবেন।

স্ক্যাল্পের শুষ্কভাব ও সংক্রমণের কারণে খুশকির সমস্যা বাড়ে। এক্ষেত্রে কাজে আসবে টি ট্রি অয়েল। আমন্ড অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে মাখুন। এছাড়া আপনি শ্যাম্পুতে টি ট্রি অয়েল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।

টি ট্রি অয়েলের বদলে আপনি নিমও ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতার গুঁড়ো বা নিম পাতা বাটা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। চেষ্টা করুন অ্যান্টি-ড্রানডফ শ্যাম্পু ব্যবহার করার।

স্ক্যাল্পে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার লাগাতে পারেন। এই উপাদানটি স্ক্যাল্পের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে ভেজানো মেথি দানা বেটে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে লাগান এবং ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন।

খুশকি দূর করতে কলা, লেবুর রস ও মধুর তৈরি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। এই তিন উপাদান দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করলেই আপনি খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।