
রোগের ঝুঁকি এড়াতে শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্রিয় থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ন্যূনতম ব্যায়াম করা বিশেষ ভাবে জরুরি।

এই রোগের ঝুঁকি কমাতে আপনাকে অবশ্যই আপনার মানসিক স্বাস্থ্য বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। গান শুনুন, প্রয়োজনে গানের লাইনগুলি মুখস্থ করার চেষ্টা করুন। কোনও কিছু মনে না পড়লে মোবাইলের উপর নির্ভর না হয়ে মনে করার চেষ্টা করুন।

আপনাকে অবশ্যই মস্তিষ্ককে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করে যেতে হবে। খবরের কাগজ পড়ুন, ধাঁধা সমাধান করুন, নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন, কার্ড গেম বা সুদোকু খেলুন। চাইলে আপনি ক্রসওয়ার্ডও খেলতে পারেন। মস্তিষ্ককে সব সময় প্রশিক্ষণ দেওয়া এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায়।

আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখলে তা এই রোগের নিরাময়ে খুব কার্যকর হয়। এর জন্য আপনি যোগব্যায়াম বা বিভিন্ন ধরনের শরীর চর্চা করতে পারেন। মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়াও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।

যদি আপনার নাতি -নাতনি থাকে তবে তাদের সঙ্গে একটা বড় পরিমাণ সময় কাটান। এই ধরনের সম্পর্ক পারস্পরিকের জন্যই উপকারী। কারণ। এক্ষেত্রে শিশুরা আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে আর আপনারও ওদের সঙ্গে সময় কাটানোর ছলে মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখা হয়ে যাবে।

সবজি, ডাল, জলপাই এবং বাদামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাঙ্ক ফুড, মশলাযুক্ত আর তৈলাক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। এগুলি আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।