ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের ডেলরে শহরে বাসিন্দা রোজি মুর একজন প্রাণী বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানী। ভয়ঙ্কর সব সরীসৃপ এবং হাঙ্গর নিয়ে তাঁর কাজ কারবার। তবে গোটা বিশ্ব তাঁকে বেশি চেনে তাঁর সৌন্দর্যের জন্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ছবি বা ভিডিয়ো পোস্ট করলেই তা ভাইরাল হয়। নেটিজেনদের মতে রোজিই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী, সাহসী এবং সেক্সি বিজ্ঞানী। কিন্তু আজকাল অনলাইনে ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছেন রোজি মুর। অনেকেই তাঁকে পাগল বলছে।
আসলে ২৬ বছরের রোজি মুরের একটি অনন্য শখ আছে। এই গ্ল্যামারাস বিজ্ঞানী নিজের বাড়িতেই বেশ কিছু বিষাক্ত ও বিপজ্জনক প্রাণী রাখেন। তবে, তিনি 'পাগল' আখ্যা পেয়েছেন তাঁর নতুন পোষা প্রাণীটির কারণে।
সম্প্রতি তিনি একটি ব্ল্যাক উইডো মাকড়সা পুষেছেন। তাঁর এই নতুন পোষ্যটির বিষ, ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ হিসেবে পরিচিত র্যাটলস্নেকের থেকেও ১৫ গুণ বেশি মারাত্মক। তবে তাঁর দাবি এই ভয়ঙ্কর মাকড়সাটি সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে।
ব্ল্যাক উইডো মাকড়সার মহিলারা সঙ্গমের পর তাদের পুরুষ সঙ্গীদের খেয়ে ফেলে। মহিলা মাকড়সাগুলির একটি বিশালাকার বিষ গ্রন্থি থাকে। কিন্তু তা নিয়ে আদৌ বিচলিত নন রোজি।
তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি একটি ব্ল্যাক উইডো মাকড়সার খোঁজ করছিলেন। অবশেষে এই মাকড়সাটিকে তিনি পেয়েছেন। ভয়ঙ্কর মাকড়সাটির তিনি নামও দিয়েছেন, ওফেলিয়া। .
রোজির দাবি, সাধারণভাবে ব্ল্যাক উইডো মাকড়সা নিয়ে যে ধারণা রয়েছে, তা সঠিক নয়। এই মাকড়সা কামড়ালেই কারোর মৃত্যু হবে, তা ঠিক নয়। তিনি বলেছেন, "একটিমাত্র কামড় প্রাণঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা সত্যিই খুব কম।"
তাঁর দাবি, একমাত্র ঝুঁকি রয়েছে বয়স্ক বা শিশুদের। ব্ল্যাক উইডো মাকড়সার বিষ একটি র্যাটল স্নেকের থেকে ১৫ গুণ বেশি শক্তিশালী ঠিকই, কিন্তু এই মাকড়সাগুলি আকারে এতটাই ছোট হয় যে তারা খুব কম পরিমাণে বিষ ঢালতেপারে। তাই তারা র্যাটলস্নেকের মতো বিপজ্জনক নয়।