
মাদার টেরেসার ফোটো ক্রনিকলার সুনীল কে দত্ত মাদারের স্নেহ ধন্য। তিনি টেরেসার সিস্টারহুড থেকে সান্নিধ্য পেয়েছিলেন মাদারের জীবনের শেষ দিন অবধি।

সুনীল কুমার দত্ত তাঁর ছবিতে জীবনের শুভ দিক গুলি ধরতে চেয়েছেন বারেবারে। স্ট্রীট ফোটোগ্রাফি সুনীল দত্তের ছবির একটা বড় অংশ জুড়ে আছে। সেখানে দারিদ্র্য থাকলেও হতাশা নেই। আছে আনন্দ। রিকশাচালক বাবা আর মেয়ের এই মূহুর্ত তেমনই এক আনন্দের খোঁজ দেয়।

দেশের বিভিন্ন আর্ট গ্যালারি ছাড়াও লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম অফ ফটোগ্রাফি কিংবা কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে প্রদর্শিত হয়েছে তাঁর ছবি।

বারেবারে তাঁকে আকর্ষণ করেছে চলমান জগতের প্রবহমান জীবন আর জীবনের শুভ দিক। তা ই বারেবারে উঠে এসেছে তাঁর কাজে। নির্মল আনন্দের এক একটা ফ্রেম হয়ে উঠেছে ফাইন আর্টস।

নিউইয়র্কের ক্রিস্টোফার পুরস্কার , বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্টিফিকেট অফ রেকগনিশন আর ইউনেস্কোর পুরস্কার পেয়েছেন একাধিকবার। কোডাক বা ফুজি ফিল্ম ও দিয়েছে স্বীকৃতি এই প্রবীণ ফটোগ্রাফারকে। আর ১৯৮৭ তে ফটোগ্রাফি সোসাইটি অফ আমেরিকা বিশ্বের সেরা ফটোগ্রাফারের শিরোপা পেয়েছেন সুনীল কুমার দত্ত।

মাদার টেরেসার জীবনের ওপর সুনীল কে দত্তের বই 'ডাউন মেমোরি লেন' এর উদ্বোধন করেন স্বয়ং মাদার টেরেসা। পৃথিবীতে এটি একমাত্র বই যা মাদারের ওপরে নির্মিত এবং মাদারের হাতেই প্রকাশিত। এই বইয়ের আশীর্বাণী এবং ফোটো ক্যাপশনও মাদার টেরেসার।

সুনীল দত্তের অন্য বইগুলির মধ্যে সমাদৃত কলকাতা ক্যানভাস, দুর্গাপুজা এবং শান্তিনিকেতনের ওপর তৈরি একটি বই। এই বইটি তৈরি করবার সময়ে যে ব্যায়ভার তা বহন করতে দত্তের স্ত্রী তাঁর গয়না ফোটোগ্রাফার স্বামীর হাতে তুলে দেন।