
পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে আজও রাজাদের শাসন চলছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ড, ব্রুনাই এবং মরক্কোর মতো দেশ রয়েছে। এই দেশগুলো ছোট হতে পারে, কিন্তু এখানে রাজাদের নাম অনেক বড়। বিশেষ করে সম্পত্তির ক্ষেত্রে। এই রাজাদের আছে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু জানেন কি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজা কে এবং তাঁর কত সম্পদ আছে? গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাচিরালংকন বিশ্বের সবচেয়ে ধনীরা সম্রাট। ২০১৬ সালে তিনি তাঁর পিতা ভূমিবল অদুল্যাদেজের মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন। তাঁর বাবা প্রায় ৭০ বছর ধরে থাইল্যান্ডের রাজা ছিলেন। তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজা হিসেবে গণ্য করা হয়।

থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজা মহা ভাচিরালংকন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজা।

২০১৮ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছি। সেই অনুসারে থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজা মহা ভাচিরালংকনের মূল সম্পত্তি ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। যার মধ্যে কোটি কোটি টাকার রাজকীয় প্রাসাদ, ৩০টিরও বেশি ব্যক্তিগত বিমান, বিভিন্ন প্রকার দামি গাড়ি, হীরা ও সোনার গহনা রয়েছে।

খুব কম লোকই জানেন যে রাজা মহা ভাচিরালংকনও একজন প্রশিক্ষিত পাইলট। তিনি সব ধরনের জাহাজ ওড়াতে জানেন। বলা হয় যে, তিনি যখনই বিদেশ সফরে যান, তিনি নিজেই নিজের বোয়িং ৭৩৭ বিমান চালান। এছাড়াও তিনি থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং একজন চমৎকার সাইক্লিস্টও বটে।

জানলে অবাক হতে হবে, ভূমিবল অদুল্যাদেজের শেষকৃত্যে ৫০-১০০ নয়, প্রায় ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তাঁর মৃতদেহ সোনার তৈরি রথে রেখে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি চক্রী রাজবংশের নবম সম্রাট ছিলেন, তাই তাকে "রাম নবম" বলা হয়। এরবপর যখন মহা ভাচিরালংকন রাজা হন, তাঁকে বলা হত 'রাম দশম'। ভাচিরালংকন নিজেকে ভগবান রামের বংশধর মনে করেন।

জানলে অবাক হতে হবে, ভূমিবল অদুল্যাদেজের শেষকৃত্যে ৫০-১০০ নয়, প্রায় ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তাঁর মৃতদেহ সোনার তৈরি রথে রেখে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি চক্রী রাজবংশের নবম সম্রাট ছিলেন, তাই তাকে "রাম নবম" বলা হয়। এরবপর যখন মহা ভাচিরালংকন রাজা হন, তাঁকে বলা হত 'রাম দশম'। ভাচিরালংকন নিজেকে ভগবান রামের বংশধর মনে করেন।