
আয়ুর্বেদে ত্বকের সমস্যার সমাধান থাকবে না, এমন হয় না। বিশেষত যেখানে ব্রণ নিয়ে কথা হচ্ছে, সেখানে আয়ুর্বেদ সবচেয়ে কার্যকর উপায়। ব্রণ, পিম্পেলের সমস্যায় আয়ুর্বেদ প্রতিকারের সাহায্য নিন এইভাবে।

হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে এক টুকরো করে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। কিংবা কাঁচা হলুদ বেটে, বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এতে ব্রণ, পিম্পেল ও ত্বকের দাগছোপ দূর হয়ে যাবে।

র্যাশের সমস্যায় সবচেয়ে কার্যকর নিম পাতা। নিম পাতার মধ্যে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ব্রণর সমস্যা কমায়। এক মুঠো তাজা নিম পাতা বেটে নিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। কিংবা জলে নিম পাতা ফুটিয়ে নিন। তারপর ওই জল মুখে টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন।

আয়ুর্বেদে অ্যালোভেরা জেলের বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। এই প্রাকৃতিক উপাদান অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। আপনি মুখে সরাসরি অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল তৈরি করে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাবেন।

ভারতের প্রতিটা বাড়িতে তুলসি পাতা সহজেই পাওয়া যায়। তুলসি পাতা ব্রণর সমস্যাকে প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন। এছাড়া মুলতানি মাটির সঙ্গে তুলসি পাতা বেটে মুখে লাগান। এতে নিখুঁত ত্বক পাবেন।

মধুর মতো কার্যকর উপাদান আয়ুর্বেদে খুব কম রয়েছে। মধু নিয়ে সরাসরি আপনি ব্রণর উপর লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিট রেখে দেওয়া পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া আপনি যে কোনও ফেসপ্যাকে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

বাজারে নির্ভেজাল চন্দন কাঠ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাছাড়া এই প্রাকৃতিক উপাদানের দামও অনেক। কিন্তু ব্রণর সমস্যায় এর বিকল্প কিছু নেই। লাল চন্দন আরও বেশি কার্যকর। চন্দন গুঁড়ো গোলাপ জলে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

ব্রণর সমস্যা আপনি ত্রিফলা ব্যবহার করতে পারেন। আমলকি, বিভিতকী ও হরিতকির সংমিশ্রণ ত্রিফলা। এর প্রদাহবিরোধী ক্ষমতা ব্রণ কমায়। ১ চামচ ত্রিফলা সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে ওই জল পান করুন। এতে ইমিউনিটি উন্নত হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে।