ডায়মন্ড হারবার: বিজেপিতে যোগ দেওয়া পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া পতাকা হাতে নেওয়ার আগেই সেদিন মেদিনীপুরে শাহর সভায় নাম না করে অভিষেককে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। সেই রেশ ছিল কাঁথি বাস স্ট্যান্ডের সভাতেও। আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে তোলেন ‘গরু পাচার’(Cow Trafficking) -এর অভিযোগ। রবিবার সেই অভিযোগের জবাব দিলেন অভিষেক স্বয়ং। নিজের হোম গ্রাউন্ডে শুভেন্দুকে একহাত নিয়ে অভিষেক বললেন, “সারদা, নারাদায় আমি নেই। তোমাকেই দেখা গিয়েছে খবরের কাগজে মুড়ে টাকা নিতে। তোলাবাজ তুমি।”
এদিন ‘গরু পাচারের’ অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা অমিত শাহর (Amit Shah) বিরুদ্ধেই তোপ দাগেন তৃণমূল সাংসদ। অভিষেকের অভিযোগ, “গরুপাচার হয় সীমান্ত দিয়ে। ভারত থেকে বাংলাদেশ। দায়িত্বে কে? বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। মাথায় কে? অমিত শাহ। তাহলে কোন ভাইপো দায়ী? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তো আর আমার কথায় চলে না। যদি চলে, তাহলে অমিত শাহর লজ্জায় পদত্যাগ করা উচিত।”
আরও পড়ুন: ‘আমি সারদাতেও নেই, নারদাতেও নেই, তোলাবাজ তো তুমি’, শুভেন্দুকে জবাব অভিষেকের
মেদিনীপুরে শাহর সভা নিয়ে কটাক্ষের সুরে তৃণমূল সাংসদকে বলতে শোনা যায়, “চাওয়ালা, মুড়িওয়ালাদের নিয়ে মিটিং করে গিয়েছেন অমিত শাহ। চারশোটা লোকও হয়নি।” আর জেপি নাড্ডার কনভয়ে ইট মারার ঘটনার প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “ক্ষোভ যদি থেকেই থাকে, ইটে নয় ইভেএম-এ বুঝিয়ে দিন।”
এখানেই শেষ নয়, রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও। সাংসদ তহবিলের টাকা কেন আচকে রাখা হয়েছে? প্রশ্ন অভিষেকের। তাঁর বক্তব্য, “প্রত্যেক সাংসদের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ। বাংলার ৪২জন সাংসদের জন্য বছরে ২২০ কোটি টাকার ফান্ড বন্ধ। ৫ বছরে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার ফান্ড বন্ধ। এই ফান্ড কোথায় যাবে? মোদীবাবুর প্রচারে যাবে।”
আরও পড়ুন: ‘লাল চুল কানে দুল, যুবা তৃণমূল’, ফিরহাদের জামাইকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দুর
অভিষেক এমনও বলেন, সাংসদ হওয়ার জন্য তিনি যা পারিশ্রমিক পান, তা না দিলেও হবে। কিন্তু মানুষের স্বার্থে মানুষের টাকা খরচ করতে হবে। ডায়মন্ড হারবারে নিজের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমি যতদিন সাংসদ থাকব, আমাকে বেতন দিতে হবে না। কেটে নিন সব টাকা। কিন্তু মানুষের টাকা মানুষের জন্য খরচ করুন।”