কাকিনাড়া: একুশের লড়াইয়ের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে টিম তৃণমূল তৈরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে সেরা একাদশ বেছে নিয়েছেন প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। আত্মপ্রত্যয়ী মদন মনে করছেন, তাঁর তৈরি এই টিমই হ্যাটট্রিক করবে।
তবে মদন মিত্র যতই প্রত্যয়ী হোন, অর্জুন সিং (Arjun Singh) ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলের জয়ের যাবতীয় সম্ভবনা। আর অর্জুন শুধু উড়িয়ে দিয়েই থেমে থাকেননি, বরং এমন মন্তব্য করেছেন যা রাজ্যের শাসক দলের বড় অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: বড় চমক, দল বানালেন মদন মিত্র! চান্স পেলেন কোন কোন তৃণমূল নেতা?
ভোটের আগে তৃণমূল একাদশ তৈরি করতে গিয়ে মদন মিত্রকে দৃশ্যত নিশ্চিন্ত দেখালেও দলবদলের ফ্যাক্টারটা স্মরণে রেখেছেন ট্যাক্সি ইউনিয়নের নেতা থেকে মন্ত্রী হয়ে ওঠা পোড় খাওয়া রাজনীতিক মদন মিত্র। কতকটা বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের সুরে দলবদলের হিসেবনিকেশের কথা বলতে শোনা গিয়েছে মদনকে। তিনি বলেছেন ‘ওলোটপালট’ না হলে তৃণমূল একাদশে থাকবেন মহুয়া মৈত্র, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, সৌগত রায়, অরূপ বিশ্বাসের মতো নেতানেত্রীরা। মদনের ম্যানেজারিতে তৃণমূল একাদশে ‘মাঠের মধ্যমণি’ হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। এই জুটি-ই লিঙ্ক ম্যানের কাজ করবে। বড় চেহারার অনুব্রত মণ্ডলকে মদন রেখেছেন ডিফেন্সে। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে আবার রেখেছেন ম্যান মার্কিংয়ে। মদন আশাবাদী, এই দলে তৃণমূলের হ্যাটট্রিক স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু, সঙ্গে কারা?
ওদিকে, পাল্টা দল গুছিয়ে নিয়েছে বিজেপিও, বলছেন অর্জুন। রাজ্যে অমিত শাহ এসে লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন। সেই মত বঙ্গ বিজেপিও মাঠে নেমে পড়েছে। সাংসদ, বিধায়করা তো রয়েছেনই সঙ্গে। নেপথ্য ভূমিকায় রয়েছেন আরও অনেকে যাঁদের হয়ত বিজেপি নেতামন্ত্রীরাই চেনেন না। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বললেন, “১৮ জন এমপি, ১৩-১৪টা এমলএ সামনে থেকে লড়বে, পিছনে থাকবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।” মদনের গড়া তৃণমূল একাদশ নিয়ে অর্জুনের কটাক্ষ, “ওদের দলের স্ট্রাইকারই তো আমাদের দলের ক্যাপ্টেন”।
অর্জুনের এই বক্তব্যে শুভেন্দুর দল বদল নিয়ে সুপ্ত আভাস থাকলেও পাকাপোক্ত ভাবে কোনও বক্তব্যই পাওয়া যায়নি এবং শুভেন্দু যে ক্যাপ্টেন এমন কোনও ইঙ্গিত দেননি মদন মিত্র। বরং ইঙ্গিতপূর্ণভাবে অর্জুন বলছেন, “অপেক্ষা করলেই সব দেখা যাবে, জানা যাবে”।
এদিকে শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও দল এখনও ছাড়েননি। জল্পনা জারি রেখে একের পর এক সভা সমিতি করে যাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো তাঁকে দল থেকে তাড়িয়েও দেননি, উল্লেখযোগ্যভাবে এমন কথাই বলেছেন ‘নন্দীগ্রামের নায়ক’।
তবে একদা সতীর্থ থেকে অধুনা যুযুধান হয়ে যাওয়া মদন মিত্র এবং অর্জুন সিং যেভাবে দল-কৌশলের কথা বলছেন তা নির্বাচনমুখী বাংলায় চর্চা ও জল্পনার নয়া রসদ যোগাচ্ছে।
কাকিনাড়া: একুশের লড়াইয়ের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে টিম তৃণমূল তৈরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে সেরা একাদশ বেছে নিয়েছেন প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। আত্মপ্রত্যয়ী মদন মনে করছেন, তাঁর তৈরি এই টিমই হ্যাটট্রিক করবে।
তবে মদন মিত্র যতই প্রত্যয়ী হোন, অর্জুন সিং (Arjun Singh) ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলের জয়ের যাবতীয় সম্ভবনা। আর অর্জুন শুধু উড়িয়ে দিয়েই থেমে থাকেননি, বরং এমন মন্তব্য করেছেন যা রাজ্যের শাসক দলের বড় অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: বড় চমক, দল বানালেন মদন মিত্র! চান্স পেলেন কোন কোন তৃণমূল নেতা?
ভোটের আগে তৃণমূল একাদশ তৈরি করতে গিয়ে মদন মিত্রকে দৃশ্যত নিশ্চিন্ত দেখালেও দলবদলের ফ্যাক্টারটা স্মরণে রেখেছেন ট্যাক্সি ইউনিয়নের নেতা থেকে মন্ত্রী হয়ে ওঠা পোড় খাওয়া রাজনীতিক মদন মিত্র। কতকটা বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের সুরে দলবদলের হিসেবনিকেশের কথা বলতে শোনা গিয়েছে মদনকে। তিনি বলেছেন ‘ওলোটপালট’ না হলে তৃণমূল একাদশে থাকবেন মহুয়া মৈত্র, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, সৌগত রায়, অরূপ বিশ্বাসের মতো নেতানেত্রীরা। মদনের ম্যানেজারিতে তৃণমূল একাদশে ‘মাঠের মধ্যমণি’ হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। এই জুটি-ই লিঙ্ক ম্যানের কাজ করবে। বড় চেহারার অনুব্রত মণ্ডলকে মদন রেখেছেন ডিফেন্সে। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে আবার রেখেছেন ম্যান মার্কিংয়ে। মদন আশাবাদী, এই দলে তৃণমূলের হ্যাটট্রিক স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু, সঙ্গে কারা?
ওদিকে, পাল্টা দল গুছিয়ে নিয়েছে বিজেপিও, বলছেন অর্জুন। রাজ্যে অমিত শাহ এসে লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন। সেই মত বঙ্গ বিজেপিও মাঠে নেমে পড়েছে। সাংসদ, বিধায়করা তো রয়েছেনই সঙ্গে। নেপথ্য ভূমিকায় রয়েছেন আরও অনেকে যাঁদের হয়ত বিজেপি নেতামন্ত্রীরাই চেনেন না। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বললেন, “১৮ জন এমপি, ১৩-১৪টা এমলএ সামনে থেকে লড়বে, পিছনে থাকবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।” মদনের গড়া তৃণমূল একাদশ নিয়ে অর্জুনের কটাক্ষ, “ওদের দলের স্ট্রাইকারই তো আমাদের দলের ক্যাপ্টেন”।
অর্জুনের এই বক্তব্যে শুভেন্দুর দল বদল নিয়ে সুপ্ত আভাস থাকলেও পাকাপোক্ত ভাবে কোনও বক্তব্যই পাওয়া যায়নি এবং শুভেন্দু যে ক্যাপ্টেন এমন কোনও ইঙ্গিত দেননি মদন মিত্র। বরং ইঙ্গিতপূর্ণভাবে অর্জুন বলছেন, “অপেক্ষা করলেই সব দেখা যাবে, জানা যাবে”।
এদিকে শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও দল এখনও ছাড়েননি। জল্পনা জারি রেখে একের পর এক সভা সমিতি করে যাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো তাঁকে দল থেকে তাড়িয়েও দেননি, উল্লেখযোগ্যভাবে এমন কথাই বলেছেন ‘নন্দীগ্রামের নায়ক’।
তবে একদা সতীর্থ থেকে অধুনা যুযুধান হয়ে যাওয়া মদন মিত্র এবং অর্জুন সিং যেভাবে দল-কৌশলের কথা বলছেন তা নির্বাচনমুখী বাংলায় চর্চা ও জল্পনার নয়া রসদ যোগাচ্ছে।