বড় চমক, দল বানালেন মদন মিত্র! চান্স পেলেন কোন কোন তৃণমূল নেতা?

মদন মিত্রর এই দলে কে কে সুযোগ পেলেন? তৃণমূলের কোন কোন নেতা বাদ পড়লেন? দেখে নিন, 'তৃণমূল একাদশ'।

বড় চমক, দল বানালেন মদন মিত্র! চান্স পেলেন কোন কোন তৃণমূল নেতা?
গ্রাফিক্স: অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2020 | 7:31 PM

শুভঙ্কর চক্রবর্তী ও সোমনাথ মিত্র: একুশের মহারণে টিম তৃণমূল বা তৃণমূল একাদশ বানানো সত্যিই খুব কঠিন। মাথায় রাখতে হবে, মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) রয়েছেন। যদি বলেন, তৃণমূলের একাদশ বানাতে, তাহলে আগে বলব ওই টিমের ক্যাপ্টেনের নাম। এক এবং অদ্বিতীয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি খেলবেন, না অ্যাডভাইস করবেন নাকি সম্পূর্ণভাবেই থাকবেন সেটা তাঁর উপরই নির্ভর করছে। কারণ, তিনিই দলের নেত্রী। তাঁর নেতৃত্বে গোটা টিম মাঠে দৌড়াবে। তবে, আমি দেখতে পাচ্ছি, তৃণমূল হ্যাট্রিক করতে চলেছে।

ফুটবল দল যখন, তখন প্রথমেই আসতে হবে রক্ষণে। ডিপ ডিফেন্সে প্রথমেই যে নামটা মাথায় আসছে, তাঁর নাম নিঃসন্দেহে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গোলকিপারের কাজ বারপোস্টের অনেকটা কভার করা। সে ক্ষেত্রে পার্থর জুড়ি মেলা ভার। শত্রুপক্ষ (পড়ুন বিজেপি) যেখানেই বল মারবে, দেখবেন গোলকিপারের চেহারাটা চওড়া হয়ে গিয়েছে। অটোমেটিক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ ক্ষেত্রে খুবই ডি-পে-ন্ডে-ব-ল গোলকিপার! তবে, ওই আর কী! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাথায় রেখেই বানাতে হবে। কারণ, মমতা মাঠে থাকলে, আমাদের বল বাড়িয়ে দেওয়া বা রিসিভ করা ছাড়া কাজ নেই। তিনি একাই গোটা মাঠ জুড়ে খেলবেন।

এবার আসা যাক স্টপারে। মানে আগ্রাসী ধাবমান শত্রুপক্ষকে (পড়ুন বিজেপি) একেবারে স্টপ করে দেওয়া। আমার মনে হয়, অনুব্রত এ ক্ষেত্রে লা-জবাব। সব দিক বিচার করলে ওকে স্ট্রাইকারের থেকে ডিফেন্সে খেলানো যেতে পারে। তাহলে কী হবে, অন্য কেউ যখন বল নিয়ে এগোবে, সামনে যদি দেখে অনুব্রত দাঁড়িয়ে, কিছুটা থমকে যাবে শত্রুপক্ষ! আমরা এক্সট্রা অ্যাডভ্যান্ডেজ পেতে পারি।

এদিকে, সুব্রত বক্সি নিশ্চন্দেহে ডিফেন্সে থাকবে। ফের বলছি, এই টিমটা বানানো ভীষণ টাফ কাজ। বলাটাই খুব মুশকিল, কাকে কোথায় রাখব! বক্সির সঙ্গে ডিফেন্সে খেলানো যেতে পারে অরূপকে। মানে অরূপ বিশ্বাস। ও তো স্পোর্টস মিনিস্টার। আবার হাতে রয়েছে পিডব্লিউডি। তাই ওর সুবিধা হচ্ছে, ডিফেন্সে কোথাও মেরামতি বা লিকপ্রুফ দরকার পড়লে, চট করে বুঝে যাবে। তখনই জায়গাটা তাড়াতাড়ি সারানো যাবে।

আর মিডফিল্ডারে অবশ্যই ফিরহাদ হাকিম। এই মুহূর্তে ও ভাল লিঙ্কম্যানের কাজ করছে। তৃণমূলে মুখ ও মুখোশ হিসাবে যাদের চিনি সেটা মাথায় রেখেই টিম হবে। সেই অর্থে ববির সঙ্গে লিঙ্ক রাখতে অভিষেককে রাখব।

মহিলাদের মধ্যে ফরওয়ার্ডে খেলবে মহুয়া। কোনও কথা হবে না। আর যদি ব্যালেন্স করতে চাও, তাহলে সৌগত রায়কে ডিফেন্সে রাখা যেতে পারে। ওদিকে জঙ্গলমহলের কথা যদি ওঠে, শুভেন্দু অধিকারীকে ফরওয়ার্ডে রাখলে বেশ ভাল হয়। এখানে একটা দরকার ঠাণ্ডা মাথার খেলোয়াড়। মলয় ঘটক ওয়ান অব দ্য বেস্ট। আর পা থেকে মাথা অবধি দৌড়াতে গেলে রাজীব ব্যানার্জি।

কাকলি ঘোষদোস্তিদার এই টিমে জায়গা পাবে। ম্যান টু ম্যান গার্ড রাখতে কাকলি অসাধারণ। ওকে যদি একবার দেখিয়ে দেওয়া হয়, একে তাড়া করতে হবে, ব্যস, কাকলি ম্যান টু ম্যান ওয়াচে ফাটাফাটি।

 আরও পড়ুন: টিকিট কেনার টাকা নেই, বিশ্বনাথের ভাই বেচলেন জলের বোতল

ব্রাত্যও আসতে পারে টিমে। খেলাটা বোঝে। খেলোয়াড়ি স্পিরিট আছে। খেললেই তো হবে না, খেলোয়াড়ি স্পিরিটও লাগবে। আমার মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিম সাজিয়েই রেখেছেন। সেই টিম আমরা দেখতেও পাচ্ছি। তৃণমূল ইজ এনাফ টু ফাইট ব্যাক। আর আমি যে টিমের কথা বললাম, এই টিম নিয়ে ভোটের ময়দানে নামলে ডান দিক-বাঁ দিক করে শুধু এগিয়ে যাবে। আমি কনফিডেন্ট এই টিম হ্যাট্রিক করছেই।