শেয়ারে মার্কেটে (Share Market) বিনিয়োগ করে বর্তমান লাভবান হতে চান অনেকেই। কিন্তু, কোন স্টকে বিনিয়োগ করলে সহজে মিলবে বেশি লাভ, কোন স্টকে ঝুঁকি বেশি, কোন স্টকে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি লাভের সম্ভবনা, এসবের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হন অনেকেই। নির্ভর করেন সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর তথ্যের উপরেও। তবে, শুধু সঠিক শেয়ার (Share) বা মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) বিনিয়োগ করলেই কি কেউ ধনী হতে পারেন? মোটেই নয়। লাখপতি বা কোটিপতি হওয়ার এই পথে বিনিয়োগ একটা মাধ্যম মাত্র। এছাড়াও, সুপরিকল্পনা, আয় অনুযায়ী ব্যয়ের মতো একাধিক অভ্যাস আমাদের ধনী হওয়ার এই পথকে খানিক প্রশস্ত করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কিছু অভ্যাস মাথায় রাখলেই সহজেই হতে পারে লক্ষ্মীলাভ।
এড়িয়ে চলুন হঠকারিতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিনিয়োগের সময় হঠকারি কোনও সিদ্ধান্ত নিলে কোনওভাবেই চলবে না। নিজের লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে হঠকারিতায় বিরাট অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে বিপদে পড়তে পারেন আপনি। লক্ষ্যের পাশাপাশি নিজের বিনিয়োগের পরিমাণকেও স্থির রাখা প্রয়োজন। আয় বুঝে বিনিয়োগের সীমা ধার্য করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস, যা অনেকেই পালন করেন না। ফলত, বড় লাভের আশায় নিজের সর্বস্ব পর্যন্ত খুইয়ে ফেলেন বহু বিনিয়োগকারী। তাই এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলে মত বিনিয়োগকারীদের।
আয় বুঝে ব্যয়
প্রতি মাসে নিজের আয়ের কত শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারবেন, সেই সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করা প্রয়োজন। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে নজর রেখে, ছোট অঙ্কের টাকা বিনিয়োগের মধ্যে দিয়েও শেয়ার বাজার থেকে ভাল লাভ তুলে নেওয়া যেতে পারে। উল্টে মাত্রাতিরিক্ত বিনিয়োগে ঘনাতে পারে বিপদ। সহজ কথায়, আয় বুঝে ব্যয় না করলে মাসের শেষে টান পড়তে পারে পকেটে।
ঋণ করে দিন নয়
ঋণ করে দিন কাটানো মতো বাজে অভ্যাস আপনাকে ঠেলে দিতে অর্থনৈতিক ভরাডুবির দিকে। একাধিক সংস্থা থেকে চড়া সুদে পার্সোনাল লোন নিয়েও বিনিয়োগ করতে দেখা যায় অনেককে। সেখানে দিনের শেষে শেয়ার মার্কেট থেকে যা লাভ হয়, তা সুদ দিতেই বেরিয়ে যায়। আর লাভ না হলে ফিরতে হয় খালি হতে। তখন একূল-ওকূল দুই কূলই যাওয়ার উপক্রম হয়। তাই কোনও সময় বাধ্য হয়ে ঋণের জালে পা দিলেও, দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে ফেলতে হবে।
নজর রাখতে হবে পোর্টফোলিও-র দিকে
দৈনিক কতটা লাভে যাচ্ছেন নাকি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আপনার বিনিয়োগ, নজর রাখতে হবে সেদিকে। যে অ্যাপ মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছেন, দৈনিক নজর রাখতে হবে সেখানে। কোন শেয়ার উঠছে, কোন শেয়ার নামছে, আপনার বিনিয়োগ লাভের মুখ দেখতে পেল কি না, নজর দিতে হবে প্রতিটা ছোটছোট বিষয়ে। এই সমস্ত অভ্যাস করে ফেললে লোকসান এড়িয়ে সহজেই দেখা যেতে পারে বড় লাভের মুখ।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।