Khatushyam: মনে মনে যা চাইবেন তাই পাবেন! কলিযুগের সবচাইতে শক্তিশালী দেবতা কে জানেন?

Worship of Khatushyam: ভগবান খাটু শ্যামকে কলিযুগের সবচেয়ে ক্ষমতাবান দেবতা বলে মনে করা হয়। খাটু শ্যাম ভগবানকে নিয়ে ভক্তদের মধ্যে রয়েছে গভীর বিশ্বাস। মহাভারত যুগের সঙ্গে সম্পর্কিত ভগবান খাটু শ্যাম।

Khatushyam: মনে মনে যা চাইবেন তাই পাবেন! কলিযুগের সবচাইতে শক্তিশালী দেবতা কে জানেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2022 | 12:02 PM

খাটু শ্যামের মন্দিরটি (Khatushym Temple) রাজস্থানের সিকার জেলায় অবস্থিত। যদিও খাটু শ্যামের অনেক মন্দির আছে, কিন্তু বিশ্বাস করা হয় যে রাজস্থানের (Rajasthan) সিকারে স্থিত এই মন্দিরটি খাটু শ্যামের সমস্ত মন্দিরের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত। খাটু শ্যামকে কলিযুগের সবচেয়ে বিখ্যাত ঈশ্বর বলে বিশ্বাস করেন অনেকে। খাটু শ্যামজির দর্শন পেতে প্রতিদিন লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। বিশ্বাস করা হয় যে ভক্তরা এখানে ভগবানের দর্শন করতে আসেন এবং ভক্তিভরে মনে মনে যা প্রার্থনা করেন, তাদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন খাটু শ্যাম।

খাটু শ্যাম বাবার কাহিনি

ভীমের পুত্রের নাম ছিল ঘটোৎকচ। তাঁর পুত্রের নাম বর্বরিক। বর্বরিক বাবাই খাটু শ্যামজি নামে পরিচিত। শ্রী কৃষ্ণ বর্বরিককে নিজের নাম প্রদান করেন ও কলিযুগে বর্বরিকের পূজা হবে বলে আশীর্বাদ দেন। এই কারণেই বর্বরিকের অপর নাম শ্যাম।

স্কন্দপুরাণ অনুসারে ভীমের পৌত্র অর্থাৎ ঘটোৎকচের পুত্র ছিলেন বর্বরিক। বর্বরিক অসাধারণ বীর ছিলেন। জানা যায়, তপস্যা দ্বারা বর্বরিক নবদুর্গার কাছে এক শক্তিশালী অস্ত্র পান। সেই অস্ত্র ছিল তিনটি তির। আবার অগ্নিদেবের উপসনা করে তিনি পেয়েছিলেন দিব্য ধনুক। এই তিনটি তির ও ধনুক দিয়েই তিনি শত্রুপক্ষকে নাশ করতে পারতেন। কারণ তিরগুলি শত্রুপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করলে চোখের পলকে সেগুলিকে শত্রুপক্ষকে চিহ্নিত করে ও মৃত্যুদান করে ফের তূণীরে ফিরে আসত।

তবে শর্ত ছিল, এই অস্ত্র দ্বারা তিনি শুধু দুর্বলের হয়েই লড়াই করতে পারবেন। পাণ্ডবদের পক্ষে ছিলেন বর্বরিক। তবে শ্রীকৃষ্ণ একথা জানতে পেরে চিন্তান্বিত হন। কারণ ওই অস্ত্রে কৌরবের সকল সেনা ধ্বংস হলেও কৃপাচার্য, ভীষ্ম, অশ্বত্থামার মৃত্যু সম্ভব ছিল না। সেক্ষেত্রে কৌরবরা দুর্বল হয়ে পড়ত এবং বর্বরিককে পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করতে হতো। তাই তিনি গরিব ব্রাহ্মণের বেশ ধরে বর্বরিকের সামনে হাজির হন। শ্রীকৃষ্ণের মায়ায় বর্বরিক সবকিছু বুঝতে পারেন ও

অস্ত্র দ্বারা নিজের মস্তক ছিন্ন করেন এবং শ্রীকৃষ্ণের চরণে দান করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখন বর্বরিককে আশীর্বাদ দেন, ‘এই মস্তক সর্বদা জীবিত থাকবে এবং কলিযুগে তোমার পূজা হবে। তোমার পূজা হলে তা আমি আমার পূজা বলেই গ্রহণ করব। কলিযুগে তুমি খাটু শ্যাম বলে পরিচতি হবে।’ জানা যায়, গীতার বাণী শোনার সৌভাগ্য যে কয়জনের হয়েছিল তাদের মধ্যে বর্বরিকও ছিলেন।

ভগবান কৃষ্ণকে তাঁর মস্তক দান করার কারণে, খাটু শ্যাম জি শিষ দানী নামেও পরিচিত। এ ছাড়া তাকে মরচিধারীও বলা হয়।

মনে করা হয় বর্বরিকের মস্তক প্রোথিত হয়েছিল রাজস্থানের খাটু নগরে যা এখন সিকার নামে পরিচিত। শোনা যায় একসময় বাবা খাটু শ্যাম ধামের কুণ্ডে আবির্ভূত হয় সেই মস্তক। তারপর থেকেই হয়ে আসছে বাবা খাটু শ্যামের পূজা। কথিত আছে, জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া মানবকে কৃপা করেন বাবা খাটু শ্যাম। কারণ তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন দুর্বলদের পক্ষে তিনি অবিরাম লড়াই করবেন ও তাদের জিতিয়ে দেবেন।

(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)