
বৈবাহিক জীবন মানেই নিত্য নতুন নিয়ম, সঙ্গে চ্যালেঞ্জও বটে। প্রতিকূলতার মুখেও পড়তে হয় অনেক। তবে সেই সংসার সুখের না হয়ে কষ্টে ভরে থাকুক এমনটা কেই বা যায়। নিজের ঘরে কে না স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে? আর সেই চারদেওয়ালের মাঝের পরিবেশটা সুখকর করতে মেনে চলতে হবে বাস্তুর কিছু নিয়ম। এ কারণেই নবদম্পতির ঘর সাজানোর সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “ঘরে যে দিক, রঙের বিন্যাস এবং জিনিসপত্র রাখা হয় তা বাস্তু অনুসারে হওয়া উচিত। এটি তাদের সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করে এবং পরিবারের জন্যও শুভ”।
বেডরুমের দিকনির্দেশ
বাস্তু একটি বিজ্ঞান এবং স্থাপত্যের একটি রূপ। নবদম্পতির বেডরুমের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাস্তু অনুসারে, নববিবাহিত দম্পতির ঘরটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত এবং ভবনের সবচেয়ে উপরের তলায় হওয়া উচিত।
তবে অনেক সময় নবদম্পতির ঘর বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী হয় না। এই পরিস্থিতিতে, কনের বিছানা এমন দিকে হওয়া উচিত যাতে তার মাথা দক্ষিণ দিকে এবং পা ঘরের উত্তর দিকে মুখ করে। এখানে উল্লেখ্য যে পা যেন প্রবেশদ্বার বা ঘরের দরজার দিকে না থাকে। এই ব্যবস্থা সম্ভব না হলে মাথার জন্য পূর্ব দিক বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু যখন আপনাকে গর্ভধারণ করতে হবে তখন আপনার ঘুমের দিক পরিবর্তন করা উচিত।
বিছানা কেমন হওয়া উচিত?
আপনার সামাজিক সাজসজ্জা পরিত্যাগ করা উচিত এবং নিজের জন্য একটি কাঠের বিছানা বেছে নেওয়া উচিত। এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে বিছানায় যদি একটি বাক্স থাকে তবে কেউ আবর্জনা ফেলে দেবেন না বা কোনও ধারালো বস্তু রাখবেন না। শুধু তাই নয়, গদিও হতে হবে একক।
আয়না কীভাবে রাখা উচিত?
জিনিসগুলিকে দ্বিগুণভাবে দেখানো এবং শক্তি ছড়িয়ে দেওয়া আয়নার মূল কাজ। অতএব, সঠিক দিকে আয়না স্থাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমানোর সময় আয়নায় যাতে না দেখা যায় সে জন্য আয়না সবসময় বিছানার পাশে থাকা উচিত।
কীভাবে ঘর সজ্জিত করা উচিত?
বেশিরভাগ মানুষই ঘর সাজাতে ফটো ফ্রেম ব্যবহার করেন। নববিবাহিত দম্পতিরও ঘরে এমন ছবি রাখা উচিত যাতে আনন্দের উদ্রেক হয়। আপনার ঘরে কখনই ঈশ্বরের ছবি, মানুষের একক ছবি বা বন্য প্রাণীর ছবি রাখবেন না। তবে নবদম্পতি তাদের ছবি ঘরে রাখতে পারেন।
ঘরের দেয়ালের রঙ কেমন হওয়া উচিত?
আপনার ঘরের দেয়ালে শুধুমাত্র আপনার পছন্দের রং ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে ঘরে যেখানেই সম্ভব লাল ব্যবহার করুন। লাল রঙ শক্তি বাড়ায়, নববিবাহিত দম্পতির মধ্যে সম্পর্ককে মধুর করে এবং তাদের ভালোবাসা বাড়ায়। লাল রঙের অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না কারণ এটি বিশ্বাস করা হয় যে কোনও দম্পতি যখন গর্ভধারণের পরিকল্পনা করে তখন সমস্যা তৈরি করে এবং লাল রঙের অতিরিক্ত ব্যবহার সম্ভবত দম্পতির মধ্যে ঝগড়া বা মারামারির কারণ হতে পারে।