
সাফল্যের মুখে গিয়েও হেরে চলা আসা মানুষের সংখ্যা যেন দিন দিন বাড়ছে। কারণ বহু মানুষ আছেন, যাঁরা পরিশ্রম করছেন, কিন্তু উন্নতি বা সাফল্য অর্জন করতে পারছেন না। বারবার নিজের কাছে হেরে যাওয়ায়, দুর্বল হয়ে পড়ে আত্মবিশ্বাসও। কারণ কঠোর পরিশ্রম করেও পজিটিভ ফল না পেয়ে মন ভেঙে যায় অনেকটাই। আর সেই মনকে চাঙ্গা করতেও অনেকটা সময় লেগে যায়। একই সময়ে, কম পরিশ্রমে অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করে নেন অনেকেই। তাঁদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কোনওমতেই তুলনায় যাওয়া যায় না।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, চন্দ্র হল মনের প্রতীক। দিনরাত পরিশ্রম করেও যদি চাকরিক্ষেত্রে নিজ মার্যাদা বা প্রাপ্য সম্মান, সাফল্য না পেলে বুঝতে হবে চন্দ্র আপনার দুর্বল রয়েছে। সেই কারণেই আত্মবিশ্বাসের অভাব ঘটছে। মনের মধ্যে অস্থিরতা, পজিটিভিটি ও মানসিক বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
১. মাথায় চাঁদ রেখে ভগবান শিবের ছবি বা মূর্তি পুজো করুন। এছাড়াও রুদ্রাক্ষ জপমালা দিয়ে পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র জপ করুন। বিশ্বাস করা হয়, চন্দ্রের কারণে চাকরিতে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা দূর হয়।
২. যদি আপনার কুণ্ডলীতে চন্দ্র দুর্বল থাকে, তাহলে খেয়াল রাখবেন, হাত থেকে কোনওভাবেই দুধ বা জল নষ্ট না হয়। মনে করা হয়, এমনটা নিজের ক্ষতি হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, সোমবার কোনও দুঃস্থ মহিলাকে দুধ দান করলে উপকার পাবেন।
৩. জল পান করার জন্য সবসময় সিলভার গ্লাস ব্যবহার করুন। রাতে রুপার গ্লাসে জল ভরে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খেয়ে নিন। এই প্রতিকার নিয়মিত করলে চাঁদ শক্তিশালী হয় বলে মনে করা হয়।
৪. আপনি পূর্ণিমা উপবাস পালন করে সবচেয়ে উপকার পাবেন। উপবাসের দিনে ক্ষীর তৈরি করুন, রাতে কিছু সময় চাঁদের আলোতে রাখুন। বিশ্বাস করা হয় যে পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমে এই ক্ষীর অর্পণ করা হলে উপকার পেতে পারেন আপনি।
৫. ছোটবেলা থেকেই চাঁদকে মামা বলে সম্বোধন করে থাকি। মনে করা হয়, চাঁদ সরাসরি মায়ের সঙ্গেজড়িত, তাই মাকে খুশি রাখার জন্য সরাসরি প্রভাব চাঁদের উপর পড়ে। মাকে খুশি রাখলে চাঁদও খুশি থাকবে।