Happy Children’s Day 2021: শিশু দিবসে ‘চাচা নেহেরু’র কিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তি, যেগুলি প্রত্যেকের জীবনেই মূল্যবান!

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Nov 13, 2021 | 6:31 AM

Children's Day 2021: তাঁর মৃত্যু গোটা দেশকে শোকাচ্ছন্ন করেছিল তো বটেই, কিন্তু ৫৬ বছর মৃত্যুবার্ষিকীর পরও তাঁর অনুপ্রেরণামূলক উত্তি আজও মানুষকে উজ্জীবিত করে।

Happy Childrens Day 2021: শিশু দিবসে চাচা নেহেরুর কিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তি, যেগুলি প্রত্যেকের জীবনেই মূল্যবান!
শিশু দিবস উপলক্ষ্যে খুদেদের সাজ

Follow Us

স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু একাধারে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সারা বিশ্বের বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বতের মধ্যে অন্যতম। ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর, উত্তরপ্রদেশের এলাহবাদে একজন প্রখ্যাত আইনজীবী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক কর্মীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বাড়িতেই ইংরেজি ও স্কটিশ শিক্ষকদের দ্বারা তাঁর শিক্ষার তত্ত্বাবধান করা হয়। হ্যারো স্কুলে পড়াশোনা করে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জনের জন্য ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এই সময়ে তিনি সাহিত্য, অর্থনীতি, ইতিহাস এবং রাজনীতির পাঠ নেন। যার কারণে উদারতাবাদ, সমাজতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদের প্রতি তার আগ্রহ বৃদ্ধি পায় তাঁর মনে। ১৯১২ সালে ভারতে ফিরে আসেন এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টে যোগদান করেন।

শিশুর প্রতি নেহেরুর ভালবাসা ছিল অফুরন্ত। সেই স্নেহ-ভালবাসাকে স্মরণে রাখতেই তাঁর জন্মদিনটিকে ভারতে শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। তাঁকে আদর করে চাচা বলে ডাকা হত। ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার একটি নতুন দিশা দেখান তিনি। তাঁর শাসনকালেই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যাক্ট পাস হয়েছিল। যেটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে কন্যা ইন্দিরা গান্ধীর মনেও রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা জোগান।

১৯৪৬ সালে, ২৭ মে, স্ট্রোক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে জীবনাবসান হয় জওহরলাল নেহেরুর। তাঁর মৃত্যু গোটা দেশকে শোকাচ্ছন্ন করেছিল তো বটেই, কিন্তু ৫৬ বছর মৃত্যুবার্ষিকীর পরও তাঁর অনুপ্রেরণামূলক উত্তি আজও মানুষকে উজ্জীবিত করে।

এখানে তাঁর কিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তি দেওয়া হল…

১. পরামর্শ দেওয়া এবং পরে আমরা যা বলি তার পরিণতি থেকে বাঁচার চেষ্টা করা খুব সহজ।

২. বছর বছর পার হলে আমরা সময় পরিমাপ করি। কিন্তু একজন কী করে, কী অনুভব করে ও কী অর্জন করে তার পরিমাপেও সময়েও দাম বোঝা যায়।

৩. জীবনে ভয়ের মতো খারাপ এবং বিপজ্জনক কিছু সম্ভবত নেই। ব্যর্থতা তখনই আসে যখন আমরা আমাদের আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং নীতি ভুলে যাই।

৪. ভাল নৈতিক অবস্থায় থাকার জন্য অন্তত ততটা প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, আর ঠিক ততটাই ভাল শারীরিক অবস্থায় থাকতে হবে।

৫. অনুগত এবং দক্ষ কাজ একটি মহান কারণ, যদিও এটি অবিলম্বে স্বীকৃত নাও হতে পারে, অবশেষে ফল বহন করে।

৬. অত্যধিক সতর্ক থাকার নীতি হল সবথেকে বড় ঝুঁকি নেওয়া। যে ব্যক্তি তার নিজের গুণের বেশি কথা বলে সে প্রায়শই সবচেয়ে কম পুণ্যবান।

৭. সর্বোচ্চ প্রকারের দক্ষতা হল যা বিদ্যমান উপাদানকে সর্বোত্তম সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে পারে।

৮. সহাবস্থানের একমাত্র বিকল্প সহ-ধ্বংস।

আরও পড়ুন: Jagadhatri Puja 2021: হৈমন্তিকার বাহন সিংহ, কিন্তু তার নীচে হাতির মৃত শরীর থাকে কেন?

Next Article