
সেই বিখ্যাত হিন্দি গানটা মনে আছে? ‘জানে ও ক্যায়সে লোগ থে জিনকে পেয়ার কো পেয়ার মিলা’ মানে ভালবাসার বদলে ভালবাসাটা জোটে না সবার কপালে। এমন অনেকেই আছেন যারা হয়তো সব কিছু দিয়ে মানুষকে ভালবেসেও প্রতারিত হয়েছেন এক বা একাধিকবার। কারা তাঁরা? কাঁদের কপালে ভালবাসার বদলে জোটে কাঁটার মুকুট?
জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, প্রেম ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাশির কিছু স্বতন্ত্র গুণ ও দুর্বলতা থাকে। কারও প্রেমভাগ্য হয় বেশ ভাল। কেউ আবার একাধিক সম্পর্কে ব্যর্থ হন। বারবার প্রতারিত হন প্রেমে। মনে করা হয় প্রেমভাগ্য খারাপ হওয়ার পিছনে রয়েছে গ্রহের অবস্থান, রাশির চরিত্র, এবং সপ্তম ঘরের (বিবাহ ও সম্পর্কের ঘর) প্রভাব। কাদের এই ভাগ্য খুব একটা সদয় নয়? কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র?
১. কুম্ভ (Aquarius) – এই রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত স্বাধীনচেতা ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে প্রবল হয়। এরা অনেক সময় আবেগকে দূরে সরিয়ে রাখে, যার ফলে সঙ্গীর সঙ্গে আবেগঘন সংযোগ স্থাপন করতে সমস্যা হয়। নিজস্ব পরিসরে থাকতে ভালবাসার প্রবণতা অনেক সময় প্রেমের সম্পর্ক দূরত্ব সৃষ্টি করে।
২. মেষ (Aries) – অত্যন্ত আবেগপ্রবণ, অধৈর্য ও স্পষ্টভাষী এই রাশির মানুষরা দ্রুত প্রেমে পড়েন এবং ততটাই দ্রুত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতেও পারেন। এদের রাগ আর অহং বোধ অনেক সময় প্রেমের মাঝে বিভেদ ঘটায়। ফলে প্রেমে স্থায়িত্বের অভাব দেখা যায়।
৩. কন্যা (Virgo) – কন্যার জাতক-জাতিকারা বিশ্লেষণপ্রবণ ও খুঁতখুঁতে স্বভাবের হন। সবকিছুতেই অতিরিক্ত পারফেকশন খোঁজেন, এমনকি প্রেমেও। কিন্তু ওই যে সম্পর্ক কোনওদিন পারফেক্ট হয়না। সঙ্গীর ছোট ছোট ভুলেও বিরক্ত হওয়া বা অনান্য কারণে সম্পর্ক সহজে টেকে না। অনেক সময় বেশি ভাবনার কারণে ভালবাসার সুযোগ হাতছাড়া করেন।
৪. বৃশ্চিক (Scorpio) – এই রাশির জাতক-জাতিকাদের মধ্যে প্রেম প্রবল, গভীর ও আবেগময় হলেও সন্দেহপ্রবণতা এবং অধিকারবোধ সম্পর্ককে বিষিয়ে তোলে। এরা যতটা গভীরভাবে ভালবাসে, ততটাই ক্ষতবিক্ষত হন বিশ্বাসঘাতকতায়। বারবার প্রেমে ব্যর্থতা বা বিশ্বাস ভাঙার ঘটনায় জর্জরিত হতেও দেখা গেছে।
৫. মকর (Capricorn) – মকর রাশির জাতক-জাতিকারা বাস্তববাদী ও কর্মনিষ্ঠ হয়। প্রেমের ক্ষেত্রে এরা খুব বেশি রোমান্টিক হন না। নিজেদের আবেগ প্রকাশ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেন। ফলে সঙ্গী অনেক সময় অবহেলিত বোধ করে। এতেই সম্পর্ক নষ্ট হয়।
মনে রাখবেন, প্রেমভাগ্য সম্পূর্ণভাবে রাশির উপর নির্ভর করে না। ব্যক্তিগত জন্মছক, গ্রহের গোচর, ও ভবিষ্যৎ দশা এই বিষয়ের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। জ্যোতিষশাস্ত্র পথ দেখাতে পারে, কিন্তু সম্পর্ক গড়ার মূল চাবিকাঠি বিশ্বাস, সম্মান এবং পরস্পরের বোঝাপড়া।
বিঃ দ্রঃ – এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।