Vastu Tips: আচমকা এই ৫ প্রাণীর বাড়িতে প্রবেশে বন্যার মতো আসতে থাকবে অর্থ-উন্নতি-সৌভাগ্য!
Vastushastra: ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, বাড়িতে পোষ্য হিসেবে নয়, অজান্তেই যদি ঘরের মধ্যে কোনও প্রাণীর প্রবেশ করে, তা শুভ ও পয়া বলে মনে করা হয়। তবে সব পশুর প্রবেশকে শুভ বলে মনে করা হয় না, যদি এই ৫ প্রাণী যে কোনও সময় হঠাত্ করে বাড়িতে প্রবেশ করে, তাহলে জীবনে সব সমস্যা কেটে গিয়ে সুখ-সমৃদ্ধি-ধন-সম্পদের বর্ষা নেমে আসতে পারে।
হিন্দু ধর্মের প্রায় প্রতিটি শাস্ত্র, প্রতিটি প্রাণীকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। অনেকে পোষ্য হিসেবে পাখি, কুকুর, বিড়াল বাড়িতে রাখেন। কিন্তু ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, বাড়িতে পোষ্য হিসেবে নয়, অজান্তেই যদি ঘরের মধ্যে কোনও প্রাণীর প্রবেশ করে, তা শুভ ও পয়া বলে মনে করা হয়। তবে সব পশুর প্রবেশকে শুভ বলে মনে করা হয় না, যদি এই ৫ প্রাণী যে কোনও সময় হঠাত্ করে বাড়িতে প্রবেশ করে, তাহলে জীবনে সব সমস্যা কেটে গিয়ে সুখ-সমৃদ্ধি-ধন-সম্পদের বর্ষা নেমে আসতে পারে।
কালো পিঁপড়ে
জ্যোতিষশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, কালো পিঁপড়ে যদি পিলপিল করে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে তাহলে বুঝবেন আর্থিক সঙ্কট কেটে গেয়ে অর্থপ্রাপ্তি পেতে চলেছেন। মজবুত হবে আর্থিক অবস্থা। যদি কালো পিঁপড়ে মুখে ডিম নিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে, তাহলে বুঝতে হবে ঋণ থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন দ্রুত।
কচ্ছপ
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যদি কচ্ছপ বাড়িতে প্রবেশ করে, তাহলে তা শুভ লক্ষণ। ধর্মীয় শাস্ত্রে জলজ প্রাণীর একটি অন্যমাত্রা স্থান দেওয়া হয়েছে। যদি কচ্ছপ বাড়িতে আসে তাহলে বাস্তুমতে পজিটিভ শক্তির প্রবাহ বিরাজ করে। কারণ কচ্ছপকে ভগবান বিষ্ণুর কচ্ছপের অবতার বলে মনে করা হয়। হিন্দুমতে, গৃহে এই কচ্ছপের মাধ্যমে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হয়ে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বর্ষণ করেন।
টিয়াপাখি
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে অনেকেই টিয়াপাখি রাখেন, তবে আচমকা বাড়িতে টিয়াপাখির আগমন ঘটে, তা অত্যন্ত শুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। টিয়া পাখিকে সম্পদের দেবতা কুবেরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। শুধু তাই নয়, বুধ গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত বলেও মনে করা হয়। বুধ মহিমার প্রতীকও বটে। টিয়াপাখিকে কামদেবের বাহনও বলা হয়। টিয়াপাখি যদি হঠাত করে ঘরে প্রবেশ করে, তাহলে সুখ, সমৃদ্ধি ও সম্পদ বৃদ্ধি ঘটে।
ব্যাঙ
চিনা বাস্তু, ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র ও জ্যোতিষশাস্ত্রে ব্যাঙেরও একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। যদি ব্যাঙ নিজে থেকেই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে তা সৌভাগ্যের প্রতীক। ঘরে মঙ্গল ও সমৃদ্ধি বাড়াতে ব্যাঙ বা তার চৈনিক মূর্তি রাখতে পারেন।
দুমুখো সাপ
দুমুখোওলা সাপ অত্যন্ত বিরল একটি সরীসৃপ বলে মনে করা হয়। দুমুখো সাপ আবার দেবী লক্ষ্মীর বাহন বলে মনে করা হয়। এই বিরল প্রাণী নিজে থেকে ঘরে প্রবেশ করে, তাতে অর্থলাভ ঘটে। সঙ্গে উন্নতি, সাফল্য, সম্পদ ও সুখের বন্যা বইয়ে যায়।
