অশ্বগন্ধা হল একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ যার বৈশিষ্ট্য বেশিরভাগ ভারতীয়দের কাছে পরিচিত। অশ্বগন্ধার কেবল রোগ নিরাময়ের ক্ষমতাই নয়, এর জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার যে কোনও ব্যক্তির সম্পদ, কর্মজীবন, পরিবার-সহ জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই উপকার করে। জ্যোতিষশাস্ত্র ছাড়াও বাস্তুশাস্ত্রে বাড়িতে অশ্বগন্ধা গাছ লাগানোর অনেক উপকারিতাও বলা হয়েছে। অশ্বগন্ধা শুধু মানসিক ও শারীরিক চাপই দূর করে তাই নয়, গোটা জীবনের আয় বাড়াতেও দারুণ উপকারী। অশ্বগন্ধার এই উপকারিতাগুলি সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন…
– অশ্বগন্ধার মূল একটি লাল রঙের কাপড়ে বেঁধে মঙ্গলবার বা শনিবার সরাসরি হাতে বেঁধে রাখুন। বিশ্বাস করা হয় যে এটি করার ফলে জাতকের চারপাশে ইতিবাচক শক্তি তৈরি হয়। ধীরে ধীরে আপনার সমস্ত সমস্যার অবসান ঘটায়। সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সম্মান বৃদ্ধি পেতে পারে। আয়ও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
– বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির উত্তর বা পূর্ব দিকে একটি অশ্বগন্ধা গাছ লাগানো খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এই গাছ লাগালে সুখ-সমৃদ্ধি আসে এবং বাড়ির বাস্তু দোষও দূর হয়। এর পাশাপাশি ঘরে অশ্বগন্ধা গাছ রাখলে ত্বক, গুটিবসন্ত, ইউরিন ইনফেকশন ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
– সংসার, কেরিয়ার, ব্যবসা, স্বাস্থ্যসহ জীবনে কোনও সমস্যা থাকলে বৃহস্পতিবার একটি নীল রঙের কাপড়ে অশ্বগন্ধার শিকড় বেঁধে লক্ষ্মীর কাছে রেখে প্রার্থনা করুন। এর পরে, সেই বাঁধন গলায় বা সরাসরি হাতে পরুন। এতে করে সমস্ত বাধা দূর হয় ও কেতুর অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
– আয়ুর্বেদে এও বলা হয়েছে যে নিয়মিত অশ্বগন্ধা সেবন খুবই উপকারী। অশ্বগন্ধা সেবনে শরীরে করটিসল হরমোনের মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ থাকে। এর পাশাপাশি চুল পড়া, শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য, রক্তে শর্করা, হার্ট সংক্রান্ত নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি যে সমস্ত দম্পতিরা সন্তানের সুখ পাচ্ছেন না, তারাও নিয়মিত অশ্বগন্ধা সেবন করতে পারেন, এতে তাদের অবশ্যই উপকার হবে।
– কেতুর অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতেও অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হয়। কেতুর শুভ প্রভাব বাড়াতে এবং অশুভ প্রভাব কমাতে অশ্বগন্ধার মূল একটি নীল কাপড়ে মুড়িয়ে ডান দিকে বাহুতে বা কব্জিতে বেঁধে রাখতে পারেন। এটি করলে জীবনে শুভ ফল পাওয়া যায় ও কুণ্ডলীর গ্রহের দোষও দূর হয়। এর সঙ্গে একজন ব্যক্তি প্রতিটি কাজে সাফল্য ও অর্থ উপার্জনের সুযোগ পেতে পারেন।