Vaijanti Mala Benefits: শ্রীকৃষ্ণের গলা থাকে এমন উজ্জ্বল বৈজয়ন্তী মালা! সব সমস্যার সমাধান মিটবে এক ঝটকায়
Benefits and Remedies: বৈজয়ন্তী মালা পুজো, যজ্ঞ, ও জীবনে আসা সব সমস্যা সমাধানের প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বৈজয়ন্তী মালার স্বীকৃতি ও প্রতিকার কী কী কাজে লাগে, তা জেনে নিন এখানে...
হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বৈজয়ন্তী মালার মাহাত্ম্য় ও গুরুত্ব উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে, এই মালা শ্রীকৃষ্ণের গলাতেও শোভা পায়। কথিত আছে যে দেবী ধরিত্রী মহাবিশ্বকে রক্ষা করার জন্য ভগবান কৃষ্ণ পূর্ণ ভক্তি ও ভালবাসার সাথে বৈজয়ন্তী মালা উপস্থাপন করেছিলেন। সেই কারণেই বৈজয়ন্তী মালা পরম ভক্তি ও ভালোবাসার সঙ্গে ভগবান কৃষ্ণকে নিবেদন করা হয়। বৈজয়ন্তীর বীজ থেকে তৈরি হয় এই বৈজয়ন্তী মালা। বৈজয়ন্তী মালা পুজো, যজ্ঞ, ও জীবনে আসা সব সমস্যা সমাধানের প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বৈজয়ন্তী মালার স্বীকৃতি ও প্রতিকার কী কী কাজে লাগে, তা জেনে নিন এখানে…
গুরুত্ব
বৈজয়ন্তী মালা সম্পর্কে অনেকেই বিশেষ জানেন না। বিশ্বাস রয়েছে যে, ভগবান রাম পরের জন্মে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর গলা থেকে বৈজয়ন্তী মালা খুলে বৈষ্ণো দেবীকে উপহার দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন যে তিনি পরবর্তী জীবনে বিয়ে করবেন। তাই দেবী বৈষ্ণোর কাছে বৈজয়ন্তীর ফুল ও মালা খুবই প্রিয়।
প্রতিকার
বৈজয়ন্তী মালার অনেক জ্যোতিষশাস্ত্রীয় উপকারিতা ও প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে। বৈজয়ন্তী মালার উপকারিতা কী কী, তা জেনে নিন এখানে…
– বৈজয়ন্তী মালা পরলে মনের নেতিবাচক চিন্তার অবসান ঘটে।
– শুধু তাই নয়, বৈজয়ন্তী মালা পরলে যে কোনও ব্যক্তির আর্থিক সুবিধাও পান।
– কারওর যদি বিয়েতে দেরি হয়, তাহলে বৈজয়ন্তী মালা পরলে সুখবর শুনতে পাবেন তাড়াতাড়ি।
– যদি কারওর রাগ খুব বেশি হয়, তাকে বৈজয়ন্তী মালা পরানো উচিত। বৈজয়ন্তী মালা পরলে রাগ শান্ত হয় বলে মনে করা হয়।
কর্মক্ষেত্রের সমস্যা দূর করে
যদি কর্মক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলেও বৈজয়ন্তী মালা পরতে পারে। এতে সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শুধু সঠিক পদ্ধতিতে এই মালা পরতে হবে, তাহলেই ফল পাবেন দ্রুত।
বৈজয়ন্তী মালা পরার পদ্ধতি
শুক্লপক্ষের প্রথম বৃহস্পতিবার বৈজয়ন্তী মালা পরা শুভ। এছাড়া লক্ষ্মীবারেও পুজো করার পর শুক্রবার স্নান সেরে এই মালা পরতে পারেন। পরার সময় ওম বৈষ্ণবায়ে নমঃ জপ করতে হবে। যদি আপনার দীক্ষা গুরু থাকেন তাহলেও তার মন্ত্র জপ করতে পারেন। আর যদি দীক্ষাগুরু না থাকে, তাহলে ওম নমো: ভগবতে বাসুদেবায় অন্তত ১০৮ বার জপ করুন। গরিবদের কিছু দান করুন। সম্ভব হলে গরিবদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করতে পারেন। এরপর পরুন বৈজয়ন্তী মালা।