
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে বেডরুমে ঘি এর প্রদীপ জ্বালালে অনেক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা মেলে। কমবেশি সকল হিন্দু ধর্মের ব্যক্তিদের বাড়িতে দেখা যায় সন্ধেবেলা ঘি এর প্রদীপ জ্বালানো হয়। বেশ কিছু ব্যক্তির বাড়িতে রাতে ঘি এর প্রদীপ জ্বালানো হয়। এর নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। একদিকে বাস্তুশাস্ত্র (Vastu Shastra) এমনটা মানা যেমন ভাল বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে, পাশাপাশি এর স্বাস্থ্যগত কারণও রয়েছে। রাতে ঘুমনোর সময় ঘি এর প্রদীপ জ্বালিয়ে শোওয়ার রীতি দীর্ঘদিন আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। রাতে সকলে শান্তিতে ঘুমোতে চান। কারণ, শান্তিতে রাতে ঘুম হলে পরের দিনটা ভাল কাটে। সারাদিনের কাজ ভাল ভাবে সম্পন্ন হয়। অনেকের প্রায়শই ক্লান্ত থাকলেও ঘুম ভাল হয় না। বাস্তুশাস্ত্র মতে রাতে ঘুমনোর আগে ঘি এর প্রদীপ জ্বালালে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বয়ে নিয়ে আসে। এর ফলে ভাল ঘুম হয়। শুধু তাই নয়, এর ফলে নানা সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
ঘুমনোর সময় বেডরুমে যেখানে বেড থাকে তার থেকে কয়েক ফুট দূরে ঘি এর প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। তা হলে রাতের ঘুম ভাল হবে। ঘি এর অনেক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। তাই ঘুমনোর সময় ঘি থেকে যে ধোঁয়া বের হয়, তা গ্রহণ করলে শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয়।
এক পুষ্টিবিদের মতে, ঘি পুষ্টিতে ভরপুর। যা শরীরকে ভিটামিন এ, ডি, ই ও সি দেয়। সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে অল্প পরিমাণে ঘি খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়, মৃত কোষ দূর হয়। এ ছাড়াও জানা গিয়েছে ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালালে ভাল ঘুমের পাশাপাশি নাক ডাকার সমস্যা কমে। বদহজম, টক ঢেকুর থেকে মুক্তি মেলে। যে সকল ব্যক্তিরা প্রতিদিন অ্যান্টাসিড গ্রহণ করেন, তাঁরা এই প্রতিকার কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
পণ্ডিতদের মতে, ঘি প্রদীপ চারিদিকে ইতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে দেয়। বিশ্বাস করা হয় যে, ঘি প্রদীপের শিখা পবিত্র দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘি প্রদীপ জ্বালানো সাধারণত শুভ বলে মনে করা হয়। কিছু লোকের বিশ্বাস ঘি প্রদীপ জ্বালালে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। এ ছাড়া কিছু ধর্মীয় তত্ত্ব অনুসারে, ঘি প্রদীপ জ্বালালে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আসে এবং আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য – এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা বাস্তুশাস্ত্র এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।