Importance of Kaudi: কুবের লাভ হবে কড়িতেই! হাতে-গলায় কড়ি পরলে দূর হয় অর্থকষ্ট, জানতেন আগে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

May 14, 2024 | 3:53 PM

Hindu Rituals: জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সস্তা ও বিরল হলেও লক্ষ্মীর এই প্রিয় হলুদ-সাদা কড়ি হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। শুধু তাই নয় দেবীলক্ষ্মীকে ঘরে চিরস্থায়ী হিসেবে স্থান দেওয়ার জন্য ঠাকুরঘরে অবশ্যই এই কড়ি রাখা জরুরি। ঘরের নেতিবাচক সক্তিকে দ্রুত হঠানোর জন্যও কড়ি রাখা উচিত।

Importance of Kaudi: কুবের লাভ হবে কড়িতেই! হাতে-গলায় কড়ি পরলে দূর হয় অর্থকষ্ট, জানতেন আগে?
ছবিটি প্রতীকী

Follow Us

পুজো হোক বা কোনও শুভ অনুষ্ঠান, লক্ষ্মী পুজোর থানে বা ম্যাচিং করে কড়ির গয়না পরার বেশ চল রয়েছে। বিশেষ করে বাঙালিদের মধ্যে কড়ির সাজসজ্জার সরঞ্জামের বেশ কালেকশন রয়েছে। কড়ি দিয়ে বানানো সুন্দর সুন্দর গলার হার, চুড়ি, কানের দুল যে কোনও বাঙালি এথনিক সাজের সঙ্গে মানানসই। শুধু সাজের ক্ষেত্রে নয়, পুজোর সামগ্রী হিসেবে কড়ির ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আগেকার দিনে, কড়ি টাকা বা অর্থ বিনিময়ের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হত। এছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কড়ি না থাকলে তা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রেও কড়িকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কারণ কড়িকে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক বলেই মনে করেন হিন্দুরা। লক্ষ্মীর প্রিয় হওয়া লক্ষ্মীপুজোর দিনে নিবেদন করাও হয় বেশ কিছু কড়ি।

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সস্তা ও বিরল হলেও লক্ষ্মীর এই প্রিয় হলুদ-সাদা কড়ি হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। শুধু তাই নয় দেবীলক্ষ্মীকে ঘরে চিরস্থায়ী হিসেবে স্থান দেওয়ার জন্য ঠাকুরঘরে অবশ্যই এই কড়ি রাখা জরুরি। ঘরের নেতিবাচক সক্তিকে দ্রুত হঠানোর জন্যও কড়ি রাখা উচিত। বাঙালির ঠাকুরঘরে কড়ি থাকবে, তা স্বাভাবিক। কিন্তু সাজের গয়না হিসেবে হাতে যদি কড়ি পরা হয়. তাহলে কী কী লাভ হতে পারে, তা অনেকেই জানেন না।

হাতে কড়ি পরার উপকারিতা

বিশ্বাস করা হয় যে যদি কারওর হাতে একটি কড়ি পরেন, তাহলে খুব দ্রুত দুর্ভাগ্য সৌভাগ্যে পরিণত হয়। সব বন্ধ ভাগ্য খুলে যায় ধীরে ধীরে। কাজের অগ্রগতিতে বার বার বাধা পড়লে বা মানসিক চাপে থাকলে অবশ্যই কড়ি ধারণ করতে পারেন। কড়ি পরা হলে জীবনে সুখের বন্যা আসতে শুরু করে ও উন্নতি ঘটতে শুরু করে রাতারাতি।

-জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কারওর হাতে একটি কড়ি ধারণ করলে সেই ব্যক্তিকে কখনওই নেতিবাচক শক্তি ঘিরে থাকতে পারে না। তাই শিশুদের কড়ি পরানো থাকলে ভাল লাভ হতে পারে। যদি মানসিক চাপে থাকেন তাহলে অবশ্যই হাতে কড়ি পরতে হবে। বিশ্বাস করা হয় যে, মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে কড়ি খুবই উপকারী। এছাড়া কুনজর কাটাতেও হাতে কড়ি পরা ভাল।

দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হলে কড়ি পরা উচিত। দৃষ্টিশক্তির ত্রুটি থেকে মুক্তি পেতে, ভাল কাজের সুযোগ প্রদানে সহায়তা করে। জীবনের নানা ক্ষেত্রে বা কর্মক্ষেত্রে উন্নতি থমকে গেলে, কড়ির প্রভাবে সেই বাধাগুলি দ্রুত কেটে যেতে পারে।

-পরিশ্রমের পরেও যদি উন্নতি ও সাফল্য, অর্থ না জোটে, তাহলে মুক্তি পেতে অবশ্যই হাতে কড়ি পরা আবশ্যিক। বার বার অর্থসঙ্কটে বা সমস্যার সম্মুখীন হলে. কড়ির প্রভাবে তা কেটে গিয়ে চিরস্থায়ী অর্থবৃষ্টি হতে শুরু করে।

Next Article