Bhog Significance: কোন ভোগে কোন দেবতা তুষ্ট, জানেন?

Bhog in Puja: কথিত আছে, ভক্তিভরে দেবদেবীদের পুজো করলে পরিবারে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়, দেব-দেবীদের আশীর্বাদও বর্ষিত হয়। পাশাপাশি রয়েছে ভিন্ন ছারা-বিধি, পুজো, আরতি ও উপবাসের নিয়ম। পুজোর সময় যে দেব-দেবীর আরাধনা করা হয়, সেই দেবদেবীর পছন্দের ফুল, নৈবেদ্য, ভোগ ইত্যাদি সাজিয়ে নিবেদন করার নিয়ম রয়েছে।

Bhog Significance: কোন ভোগে কোন দেবতা তুষ্ট, জানেন?

| Edited By: দীপ্তা দাস

Dec 19, 2023 | 8:27 AM

হিন্দুশাস্ত্রে দেবদেবীর সংখ্যা প্রায় অনেক। বারো মাসে তেরো পার্বণ। তেমনি প্রতিটি দেবদেবীর পুজো পদ্ধতিও ভিন্ন। কথিত আছে, ভক্তিভরে দেবদেবীদের পুজো করলে পরিবারে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়, দেব-দেবীদের আশীর্বাদও বর্ষিত হয়। পাশাপাশি রয়েছে ভিন্ন ছারা-বিধি, পুজো, আরতি ও উপবাসের নিয়ম। পুজোর সময় যে দেব-দেবীর আরাধনা করা হয়, সেই দেবদেবীর পছন্দের ফুল, নৈবেদ্য, ভোগ ইত্যাদি সাজিয়ে নিবেদন করার নিয়ম রয়েছে। ফুল, ভোগ ও নৈবেদ্য ছাড়া কোনও পুজোই সম্পূর্ণ হতে পারে না। এছাড়া প্রতিটি দেবদেবীর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা দিনে পুজো করার রীতি।

ঈশ্বরকে নিজের পছন্দের জিনিস নিবেদন করলে বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। প্রতিটি দেবদেবীর একেক একেক রকম ভোগ নিবেদন করা হয়। দুর্গাপুজোয় একরকম ভোগ, কালীপুজো এক রকম ভোগ, আবার লক্ষ্মীপুজোয় দেওয়া হয় ভিন্ন ভোগ। এছাড়া রয়েছে আরও দেবতা। কোন কোন দেবতা কোন কোন ভোগে সন্তুষ্ট, কিসে পাবেন অগাধ আশীর্বাদ, তা জেনে নেওয়া ভাল।

শ্রীহরি বিষ্ণু

ভগবান বিষ্ণুকে ক্ষীর ও হালুয়া নিবেদন করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে ভক্তরা চাল ও দুধ দিয়ে তৈরি ক্ষীর ও সুজির হালুয়া নিবেদন করলে বাড়িতে সর্বদা সুখ এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকে। বৃহস্পতিবার শ্রীহরি বিষ্ণুকে প্রিয় নৈবেদ্য নিবেদন করলে শুভ ফল লাভ পেতে পারেন।

মহাদেব

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মহাদিদেবের অত্যন্ত প্রিয় ভোগ হল ভাঙ ও পঞ্চামৃত। শিবরাত্রির দিন এই ভোগই নিবেদন করার রীতি রয়েছে। মহাদেবের আশীর্বাদ পেতে রোজকার পুজোর সময়ও নিবেদন করুন ভাঙ্গ ও পঞ্চামৃত। তবে ভোলেবাবা অল্প নৈবেদ্যেতেই সন্তুষ্ট। তাই সামর্থ্য অনুসারে যাই নিবেদন করা হোক না কেন, তাতেই সন্তুষ্ট হন তিনি।

গণেশ

গণেশের কাছে মোদক খুবই প্রিয়। যদি গণপতি বাপ্পার আশীর্বাদ পেতে চান, তাহলে পুজোর সময় অবশ্যই মোদক ভোগ নিবেদ করা উচিত। তাতে জীবনে সারাজীবন সব বাধাবিঘ্ন কেটে যেতে পারে। বিঘ্নহর্তার কৃপায় সংসার থাকবে আনন্দ ও সুখে পরিপূর্ণ।

শ্রীকৃষ্ণ

শ্রীকৃষ্ণ মাখন ও চিনি দিয়ে তৈরি মিষ্টি খুব পছন্দ করেন। কৃষ্ণপুজোর সময় ভোগ হিসেবে চিনি, ক্ষীর, মাখন, মিষ্টি, মিছরি নিবেদন করতে পারেন। তাতে কৃষ্ণ ভীষণ খুশি হন। আশীর্বাদে সন্তান সুখ পেতে পারেন, সংসারে বজায় থাকবে সুখ-সমৃদ্ধি।