জ্যোতিষশাস্ত্রে (Astrology) বাস্তুর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র (Vastushastra) অনুযায়ী, যদি বাস্তুর নিয়ম মেনে বাড়ি তৈরি না করা হয়, তাহলে বাড়িতে প্রায়শই নেতিবাচক শক্তির (Negetive Energy) প্রবেশ করে। বাস্তুর নিয়ম (Vastu Rules) অনুযায়ী ঘরের প্রতিটি দিকের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিকগুলিতে যদি কোনও বাস্তু ত্রুটি থাকে তবে বাড়িতে রোগ এবং আর্থিক সমস্যা স্থায়ী হয়। বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির বাস্তু সংশোধনের নিয়মের পাশাপাশি বাস্তুর ত্রুটি দূর করার ব্যবস্থাও বলা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি গৃহীত হলে নেতিবাচক শক্তি কখনই ঘরে প্রবেশ করবে না। বাস্তু দোষগুলিও চিরতরে ঘর থেকে দূর হয়ে যাবে। বাস্তুদোষ দূর করার এমনই কিছু ব্যবস্থা রয়েছে, যেগুলি মেনে চললে গৃহে সর্বদা সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকবে এবং কর্মজীবনে সাফল্য আসবে।
ঘরের বাস্তুদোষ দূর করার কার্যকরী উপায়
– অনেক সময় দেখা যায় অনেক চেষ্টা করেও কোনও কাজই সফল হয় না। কাজে প্রতিনিয়ত বাধা আসছে। এমন অবস্থায় আপনার জীবন থেকে সব ধরনের বাধা দূর করতে এবং সাফল্য পেতে নিয়মিত একটি রূপোর পাত্রে লবঙ্গ এবং কর্পূর জ্বালিয়ে সারা ঘরে ঘোরান। এতে জীবনের বাধা দূর হবে এবং খারাপ ঘটনাও ঘটতে শুরু করবে।
– যদি বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনবরত কলহ চলতে থাকে, সুখ-শান্তি বাধাগ্রস্ত হয়, দোকান বা ব্যবসায় ক্রমাগত ক্ষতি হতে থাকে, তাহলে এই ধরনের বাস্তুদোষ ও নেতিবাচক শক্তি দূর করতে ঘরের কোণায় কিছু কর্পূর রাখুন। বড়ি রাখুন এই প্রতিকারে কিছু দিন পর নেতিবাচক শক্তি চলে যাবে এবং ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
– যদি আপনার টাকা কারোর কাছে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকে এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ বাড়তে থাকে, তাহলে একটি লাল গোলাপের ফুলে এক টুকরো কর্পূর ও লবঙ্গ রেখে মা দুর্গাকে নিবেদন করুন। এর সাথে আর্থিক লাভের সাথে সাথে আপনার আটকে থাকা টাকাও ফিরে আসবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় কর্পূর জ্বালিয়ে দেবী লক্ষ্মীর আরতি করলে ঘরের বাস্তু দোষ দূর হয় এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
– প্রায়শই অর্থের ক্ষতি হয় এবং আর্থিক সমস্যা থেকে যায়, তারপর সকালে এবং সন্ধ্যায় রান্নাঘরের কাছে একটি পাত্রে কিছু লবঙ্গের টুকরো এবং কর্পূর পুড়িয়ে দিন। এই প্রতিকারে অর্থহানির সমস্যা দূর হবে।
– ঘুমন্ত সৌভাগ্যকে জাগানোর জন্য শনিবার স্নানের জলে কর্পূরের কিছু অংশ যোগ করে স্নান করুন। এই প্রতিকারে অগ্রগতিতে আসা বাধা এবং ভাগ্য সহায় হয়।
– আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে সন্ধ্যায় পুজোর সময় হনুমান চালিসা পাঠ করুন এবং তারপরে কর্পূরে লবঙ্গ রেখে আরতি করুন।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)