বাড়িতে পেঁচার মূর্তি রাখাছেন? জানেন এর সঠিক নিয়ম!

অনেকে ভাবেন পেঁচার মূর্তি ঘরে বা অফিসে রাখলে তা অশুভ প্রভাব তৈরি করে। কিন্তু এটা সত্যি নয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পেঁচার মূর্তি রাখলে সৌভাগ্য ফিরে আসে। সম্পদের অভাব কখনও ঘটে না।

বাড়িতে পেঁচার মূর্তি রাখাছেন? জানেন এর সঠিক নিয়ম!

| Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Apr 09, 2025 | 6:31 PM

বাস্তুমতে ঘর বা অফিসের অন্দরসজ্জা সাজানোর ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে বর্তমানে। বাড়ি কেনার পর থেকেই বাস্তুর নিয়ম মেনে চলেন অধিকাংশ। বাস্তুশাস্ত্র মতে, ঘরে কোন জিনিস রাখলে শুভ প্রভাব পড়ে, কোন জিনিসে নেগেটিভ প্রভাব পড়ে, তা অনেকেই জানতে আগ্রহী। অনেকে ঘর সাজাবার জন্য পেঁচার মূর্তি রাখতে পছন্দ করেন। অফিসের ডেস্কেও রাখেন। অনেকে ভাবেন পেঁচার মূর্তি ঘরে বা অফিসে রাখলে তা অশুভ প্রভাব তৈরি করে। কিন্তু এটা সত্যি নয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পেঁচার মূর্তি রাখলে সৌভাগ্য ফিরে আসে। সম্পদের অভাব কখনও ঘটে না।

ঘরে পেঁচা রাখা কি শুভ নাকি অশুভ?

জ্যোতিষবিদ ও বাস্তুবিশারদদের মতে, পেঁচা হল দেবী লক্ষ্মীর বাহন। ধনলক্ষ্মীর প্রিয় বাহন। জ্যোতিষশাস্ত্রে পেঁচাকে শুভ বলে মনে করা হয়। মহালক্ষ্মীর বাহন বলেই আরও গুরুত্ব পেয়ে থাকে। পেঁচা নিয়ে বাঙালি তথা হিন্দুদের মনে নানা কুসংস্কার রয়েছে। কেউ কেউ অশুভ বলে মনে করেন, আবার কেউ কেউ শুভ বলে মনে করেন। তবে বাস্তু মতে পেঁচা খুবই শুভ। সঠিক নিয়ম ও নির্দেশনা মানলে তবেই উপকার পাওয়া যায়, সঠিক নিয়ম না মানলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

বাড়িতে পেঁচার মূর্তি রাখার নিয়ম

— জ্যোতিষী ও বাস্তুবিদদের মতে, ঘরে পেঁচার মূর্তি রাখলে দেবী লক্ষ্মী খুশি হন এবং তার আশীর্বাদ বজায় রাখেন।

– বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘর, অফিস বা কর্মক্ষেত্রের ডেস্কের উত্তর-পশ্চিম কোণে পেঁচার মূর্তি রাখা শুভ। এদিকে ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ ঘটে। এদিকে পেঁচার মূর্তি রাখলে দীর্ঘায়ু, স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও শক্তি বৃদ্ধি ঘটে।

– পেঁচার মূর্তি বাড়ির মূল প্রবেসদ্বারের দিকে রাখতে পারেন। ঘরে আসা নেতিবাচক শক্তি বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না এতে। ঘর ও পরিবারের সদস্যদের কুনজর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

– যদি ঘরে একটি পেঁচার মূর্তি রাখতে চান তাহলে ছবির পরিবর্তে একটি মূর্তি রাখুন। পেঁচার ছবির চেয়ে মূর্তি অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। পিতলের তৈরি পেঁচার মূর্তি রাখা ভালো বলে মনে করা হয়।

– পেঁচার মূর্তি স্থাপনের আগে শুক্রবার গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করে দেবী লক্ষ্মীর ছবির সামনে রাখা উচিত। এর পরে, দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করার পরে, প্রসাদ হিসাবে কাঁচা নারকেল, ক্ষীর নিবেদন করা উচিত।