
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এবছর বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ শ্রাবণ পূর্ণিমা পালিত হচ্ছে ৩১ অগস্ট। পঞ্চাঙ্গ মতে, ৩০ অগস্ট শ্রাবণ পূর্ণিমা উপবাস ও পরদিন শ্রাবণ পূর্ণিমার স্নান ও দান করলেই মিলবে পূণ্যলাভ। শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনে স্নান ও দান করে দেবী লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে পারেন ভক্তরা। এদিন জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারেই বৃহস্পতিবারই দেখা যাবে বিরল সুপার ব্লু মুন। তাই ধনলক্ষ্মী ও বিষ্ণু, একসঙ্গে আশীর্বাদ পেতে বেশ কিছু কাজ করা যেতে পারে। তাতে সারা বছর ধন-সম্পত্তিতে ভরে তো থাকবেনই, সর্বস্তরে উন্নতি ঘটবে হু হু করে। সমাজে যেমন সম্মান বৃদ্ধি হবে, তেমনি নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়বে তরতরিয়ে। শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনই পালিত হচ্ছে রাখি পূর্ণিমাও। তাই এদিন প্রতিকারগুলি করলে আখেরে লাভবান হবেন আপনিই।
শ্রাবণ পূর্ণিমার সহজ প্রতিকার
১. শ্রাবণে পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর হয়গ্রীব রূপের পুজো করা হয়ে থাকে। তাই এদিন হয়গ্রীব জয়ন্তীও বলা হয়ে থাকে। তাঁর কৃপায়, বুদ্ধিমত্তার জোরে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হন ভক্তরা। শত্রুদের উপরও আধিপত্য বিস্তার করবেন। ভগবান বিষ্ণু হয়গ্রীব রূপে হয়গ্রীব নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। পুরাণ মতে, এই অসুরই বেদ চুরি করেছিল।
২. শ্রাবণ পূর্ণিমার রাতে গণেশের সঙ্গে দেবী লক্ষ্মীর পুজো করতে পারেন। দেবী লক্ষ্মীকে হলুদের সাথে ১১টি হলুদ রঙ করা কয়েন বা সাদা রঙ করা কয়েন অর্পণ করুন। তারপর পদ্ধতিগতভাবে দেবী লক্ষ্মীর পুজো করতে পারেন। পুজোর পরে সেই কড়িগুলিকে লাল কাপড়ে বেঁধে নিরাপদে বা টাকার জায়গায় বা আলমারিতে রেখে দিতে পারেন। এই প্রতিকার সম্পদ বৃদ্ধি করবে।
৩. শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনে, স্নান করে চন্দ্রদোষ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিকার করতে পারেন। এজন্য সামর্থ্য অনুযায়ী চাল, চিনি, দুধ, সাদা কাপড়, রুপো ইত্যাদি দান করতে পারেন। এর ফলে চন্দ্র দেবতা প্রসন্ন হতে পারেন ও জীবনে তার শুভ প্রভাব দেখা দিতে থাকে।
৪. যদি আর্থিক সঙ্কটে আটকে থাকেন বা আপনার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ থাকে, তাহলে শ্রাবণ পূর্ণিমার দিন হাতে একটি নারকেল রাখুন। দেবী লক্ষ্মীর ধ্যান করার সময় হাতে ১০ মিনিটের জন্য রাখুন। তারপর জলে ভাসিয়ে দিন। দেবী লক্ষ্মীর কৃপায় আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করবে। পুরো পরিবারও এই প্রতিকার করতে পারেন।
৫. যারা একটি ভাল চাকরি পেতে চান বা চাকরিতে বড় পদোন্নতি চান, তাদের উচিত শ্রাবণ পূর্ণিমায় জলের বুকে আটা দিয়ে রুটি তৈরি করা। এর সঙ্গে মুলো নিয়ে মন্দিরে যাওয়া উচিত। তারপর দান করুন। আপনার নিজের হাতে এই দান করা উচিত।