
চৈত্র মাস প্রায় শেষের দিকে। তারপরেই নতুন বছর বৈশাখ মাস। মানে আবার বিয়ের মরসুম। এখন সময় বদলেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলেছে বিয়ের মণ্ডপের সাজগোছ। তবে সাজগোছের দিকে মন দিতে গিয়ে বাস্তুশাস্ত্রকে ভুলে গেলে কিন্তু মুশকিল।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যে বাড়িতে বিয়ে হতে চলেছে সেখানে ইতিবাচক শক্তি থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মানুষ আছেন যারা ভালো কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। অনেকের বৈবাহিক জীবনেও বাধা সৃষ্টি করতে পারেন। বিয়ের বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখতে কিছু বিষয় মনে রাখা খুবই জরুরি। যে বাড়িতে বিয়ে হতে চলেছে, সেখানে এমন জিনিসপত্র রাখা উচিত যা ঘরে ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখবে।
১। ঘরে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করতে, ঘরের দরজায় হলুদ এবং ভাত দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করা হয়। বিবাহ অনুষ্ঠানেও হলুদের ব্যাপক ব্যবহার হয়। এর সঙ্গে, সন্ধ্যায় বিবাহস্থলে ঘি প্রদীপ জ্বালানো শুভ বলে মনে করা হয়।
২। বিয়ের বাড়িতে ঘি বা সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালালে সেই বাড়িতে ইতিবাচকতা বজায় থাকবে। এর পাশাপাশি, বিবাহ বাড়িতে তর্ক এবং মতবিরোধ এড়িয়ে চলুন যাতে বাড়ির পরিবেশ নষ্ট না হয়।
৩। এছাড়াও, তুলসী, মানি প্ল্যান্ট, পিস লিলির মতো গাছ ঘরের পরিবেশ ইতিবাচক রাখে। একইভাবে, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যে বাড়িতে বিয়ে হবে সেখানে কিছু জিনিস রাখা উচিত নয়, অন্যথায় বাস্তু দোষের ঝুঁকি থাকতে পারে। আসুন জেনে নিই বিয়ের বাড়িতে কোন জিনিস রাখা উচিত নয়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, প্রতিটি জিনিসই কোন না কোন শক্তির সঙ্গে যুক্ত। কোন শক্তি কখন ব্যবহার করা উচিত, সে বিষয়েও সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ, বিবাহের ঘরে যুদ্ধ, যুদ্ধক্ষেত্র বা মহাভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি রাখা উচিত নয়। এতে পারিবারিক কলহ এবং তর্ক-বিতর্ক বাড়তে পারে। এর সাথে সাথে ঘরের পরিবেশও নেতিবাচক হয়ে ওঠে না। যে বাড়িতে বিয়ে হবে, সেখানে কাঁটাযুক্ত বা সূঁচালো গাছ রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে যে জায়গা বা ঘরে আপনি হলুদ, মেহেন্দি, খেজুর ইত্যাদি আচার অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছেন, সেখানে কাঁটাযুক্ত গাছ বা অন্যান্য গাছপালা রাখবেন না। এটি করলে বাস্তু সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।
দক্ষিণ দিককে যমরাজ এবং পূর্বপুরুষদের দিক বলা হয়, তাই দক্ষিণ দিকে আয়না স্থাপন করা উচিত নয়। এর ফলে, বাড়ির মানুষের মনে নেতিবাচক অনুভূতি গেঁথে যেতে পারে। দক্ষিণ দিকে আয়না রাখলে অনেক ধরণের বাস্তু দোষ দেখা দিতে পারে। যে বাড়িতে বিয়ে হবে, সেখান থেকে শুকনো ফুল বা শুকনো ফুলের মালা সরিয়ে ফেলা উচিত। প্রায়শই, প্রার্থনা কক্ষে রাখা মৃত আত্মীয়দের ছবি বা দেব-দেবীর মূর্তিতে ফুলের মালা বেশ কয়েক দিন ধরে ঝুলতে থাকে।