
সুখ, শান্তি, সম্পদ এবং সমৃদ্ধির জন্য অনেকেই বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের দিকে ঝুঁকে পড়ে। জ্যোতিষশাস্ত্রে, দেবী লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে অনেক প্রতিকার মেনে চলেন। তাই নিজের সব ইচ্ছেপূরণ করার জন্য দেবী লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করার সবচেয়ে সহজ চাবিকাঠি রয়েছে নিজের হাতেই। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদের জন্য সূর্যাস্তের পরে কি্ছু নির্দিষ্ট আচার মেনে চলা উচিত। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসার, সূর্যাস্ত-পরবর্তী বাস্তু টিপসগুলি অনুসরণ করলে ঘরে সম্পদের বর্ষণ হতে পারে। নেতিবাচক শক্তি দূর হতে পারে।
প্রদীপ জ্বালান: সূর্যাস্তের পরে, বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে একটি প্রদীপ জ্বালানো জরুরি। প্রবেশদ্বারের কাছে তুলসী গাছ থাকলে, তার কাছেও একটি প্রদীপ জ্বালাতে হবে। এই সময়ে, দেবী লক্ষ্মীর কাছে সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা উচিত। এই অভ্যাস জীবনের সমস্যা দূর করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
নীরবতা বজায় রাখুন: সূর্যাস্তের পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নীরবতা পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়। এই নীরব সময় শুধু উপাসনার সুবিধাই বাড়ায় না, ঘরোয়া ঝামেলা এড়াতেও সাহায্য করে।
পূর্বপুরুষদের কাছে প্রণাম: একটি অপরিহার্য সন্ধ্যার অনুষ্ঠান হল একজনের পূর্বপুরুষদের কাছে নত হওয়া। শ্রদ্ধা জানানোর পরে, তাদের ছবির সামনে একটি প্রদীপ জ্বালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এই প্রতিকারের জেরে যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধিও বয়ে আসে।
ঘুমনো ও খাওয়া এড়িয়ে চলুন: সূর্যাস্তের পরপরই ঘুমানো বা খাওয়া অশুভ বলে মনে করা হয়। এই ধরনের অভ্যাস স্বাস্থ্য ও আর্থিক অবস্থার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে বলে বিশ্বাস করা হয়।
ঘরের প্রদীপ জ্বালান: সূর্যাস্তের পরে ঘরে অন্ধকার হওয়া অশুভ বলে মনে করা হয়। এটি মোকাবেলা করার জন্য, সমস্ত আলো জ্বালিয়ে ঘরটি ভালভাবে আলোকিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।