
বিভিন্ন ধর্মীয় উত্সবের মধ্যে হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti 2023) হল অন্যতম। হিন্দু দেবতা হনুমানের(Lord Hanuman) জন্মদিন হিসেবে একটি বিশেষ দিন উদযাপন করা হয়। দেশের বিভিন্ন অংশে বজরংবলীর জন্মদিন পালন করা হয়। সাধারণত চৈত্র পূর্ণিমার দিনে হনুমানের পুজো করা হয়। উত্তর ভারতের (Uttar Pradesh) পাশাপাশি কর্ণাটকেও অগ্রহায়ণ মাসে শুক্লাপক্ষের ত্রয়োদশীতে এই পুজো পালন করা হয়। আবার অনেকেই হনুমান ব্রতম নামেও পরিচিত। হনুমান জয়ন্তীর সঙ্গে শনিরও প্রভাব রয়েছে। হিন্দুদের বিশ্বাস, এদিন শনির পুজো করলে শনির অশুভ প্রভাব অর্ধেকেরও বেশি হ্রাস করে। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে ৬ এপ্রিল পালন করা হবে হনুমান জয়ন্তী। এদিন বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করলে শনির মহাদশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হিন্দু শাস্ত্রে বজরংবলীকে অত্যন্ত শক্তিশালী দেবতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কথিত আছে, যখন কুণ্ডলীতে শনির মহাদশা (সাড়ে সাতি দশা ও ধাইয়া) চলে, তখন বজরংবলীর পুজো করা উচিত, হনুমান চালিসা ও মন্ত্র জপ করা উচিত। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, হনুমানজি এমন এক দেবতা যাঁর ভক্তরা শনিদেবের অশুভ শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হন না।
শনির মহাদশা বা সাড়ে সাতি দশার কারণে ভক্তদের কষ্টের শেষ থাকে না। আর্থিক ও মানসিকভাবে কষ্ট পেলে হনুমান জয়ন্তীর দিন সকালে স্নানের পরে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবির সামনে একটি ঘি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে তারপর শ্রী রাম রক্ষা স্তোত্র পাঠ করুন। এই কাজ করলে বিশ্বাস করা হয় শীঘ্রই শুভ ফল পাওয়া যায়। এতে শনি, পিত্র ও মঙ্গল দোষ দূর হয়।
হনুমান জয়ন্তীর দিন থেকে, সংকটমোচন ভোগ হিসাবে গুড় ও ছোলা নিবেদন করুন। টানা ১০ মঙ্গলবার উপবাস ও নিরামিষ খাবার খেতে পারেন। হনুমানাষ্টক পাঠ করতে পারেন। এই উপায় পালন করলে শনির মহাদশা দূর হয়।
হনুমান জয়ন্তীর দিন বাড়িতে সুন্দরকাণ্ড পাঠ করতে পারেন। তাতে শনির সাড়ে সাতি দশা ও ধাইয়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন সহজে। এরপর কাছে কোনও মন্দিরে বানর থাকলে তাদের ফল খাওয়াতে ভুলবেন না একেবারেই। বিশ্বাস করা হয় এতে বজরংবলী ও শনিদেবকে খুশি করা হয়। তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ বর্ষণ করেন ভক্তদের উপর।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই মুহূর্তে শনি তার নিজস্ব রাশি কুম্ভে অবস্থান করছে। এ বছর মকর রাশিতে শনিদেবের সাড়ে সাতির শেষ পর্ব, কুম্ভ রাশিতে দ্বিতীয় পর্ব ও মীন রাশিতে প্রথম পর্ব চলছে। অন্যদিকে কর্কট ও বৃশ্চিক রাশিতে শনির শয্যার প্রভাব রয়েছে।