পুরাণ অনুসারে, কোজাগরী পূর্ণিমার দিন সমুদ্র মন্থনের সময় দেবী লক্ষ্মীর আর্বিভাব হয়েছিল। সেই কারণেই শারদীয়া পূর্ণিমায় ধুমধাম করে লক্ষ্মীর আরধনা করা হয়। এমনটা বলা হয়, এদিন লক্ষ্মীকে ভক্তিভরে পুজো করলে বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন। গৃহে অর্থাভাব কেটে যাবে এতে। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সুখে থাকা। পুজোর সব রীতি-নিয়ম মেনে মহালক্ষ্মীর পুজো করলে জীবনে কখনও অর্থাভাব দেখা যায় না। সম্পদ, প্রতিপত্তিতে সংসার ভরে ওঠে। কথিত আছে, শারদ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ ষোলোকলায় পূর্ণ হয়ে যায়। প্রতিবছরের মত এবারেও আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। লক্ষ্মীর পাশাপাশি এদিন চাঁদকেও পুজো করা হয়।
– প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী উপবাস পালন করা হয়। আর তাতে প্রসন্ন হয়ে আশীর্বাদ বর্ষণ করেন দেবী লক্ষ্মী। তবে জেনে রাখুন এদিন রাতে পৃথিবীতে নেমে এসে শুধু সমৃদ্ধি প্রদান করেন তা নয়, মৃত্যুর পর পরলোকেও মোক্ষ লাভ করা যায়।
– শারদ পূর্ণিমার রাতে পায়েস বা ক্ষীর তৈরি করে সারা রাত খোলা আকাশের নিচে রেখে দিন। বিশ্বাস করা হয় এদিন পূর্ণিমায় চাঁদের রশ্মি বর্ষণ হয় ও রেখে দেওয়া ক্ষীর বা পায়েস অমৃতে পরিণত হয়।
– এদিন গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে ও সকালে ঘুম ভাললে প্রথমেই বিষ্ণ ও দেবী লক্ষ্মীর নাম উচ্চারণ করুন। পুজোর পর যদি ঘুম পেয়ে যায়, তাহলে বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর নাম নিন আগে। রাত জাগার কারণেই একে কোজাগরী পূর্ণিমা বলা হয়।
– লক্ষ্মীর আরাধন করলে সমস্ত ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই একে কর্জমুক্তি পূর্ণিমাও বলা হয়।
– পূর্ণিমার রাতে গৃহে লক্ষ্মীকে স্বাগত জানাতে সকালে স্নান সেরে তুলসীকে ভোগ, প্রদীপ ও জল অর্পন করুন। তাতে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হোন।